কোনও অদ্ভুত নম্বর থেকে ফোন ধরা কিংবা অচেনা নম্বর থেকে আসা মেসেজ খুলে সেখানে দেওয়া লিংকে ক্লিক করতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। এই নিয়মের সঙ্গেই নিজের তথ্য গোপন রাখতে প্রয়োজন অ্যান্ড্রয়েড
স্মার্টফোনটির কিছু সেটিংস বদলে ফেলা। চলুন তাহলে চটপট জেনে নেওয়া যাক।
১. আপনি সাধারণত অনলাইনে যে সমস্ত জিনিস বেশি সার্চ করেন, সেগুলিই আপনার কাছে বিজ্ঞাপন আকারে ফিরে ফিরে আসে। অর্থাৎ গুগল খুব ভাল ভাবেই আপনার পছন্দ বুঝতে পারে। আপাত দৃষ্টিতে বিষয়টা বেশ ভাল মনে হলেও আপনার তথ্য কিন্তু এর মাধ্যমেও ফাঁস হতে পারে। তাই পার্সোনালাইজড অ্যাড বন্ধ করে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ফোনের সেটিংস থেকে গুগলে গিয়ে অ্যাডস অপশন থেকে অপট আউট অফ অ্যাডস পার্সোনালাইজেশন ক্লিক করুন।
২. অনেকে স্মার্টফোনের স্ক্রিন লক থাকলেও ভেসে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যক্তিগত কিছু নোটিফিকেশন। সেখান থেকেও হ্যাকাররা হাতিয়ে নিতে পারে গোপনীয় বা প্রয়োজনীয় তথ্য। তাই লক স্ক্রিনকে তালাবন্দিই রাখুন। সেটিংস থেকে অ্যাপ অ্যান্ড নোটিফিকেশন অপশনে যান। সেখান থেকে সেনসেটিভ নোটিফিকেশন অফ রাখুন।
আরও পড়ুন: পিৎজা লাভারদের জন্য বিশেষ গেমস Google Doodle- এ, আপনি খেলেছেন?
৩. এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যা ইনস্টল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হোম স্ক্রিনে শর্টকাট হিসেবে যুক্ত হয়ে যায়। সমস্ত অ্যাপকে হোম স্ক্রিনে জায়গা না দেওয়াই ভাল। তাই হোম স্ক্রিন সেটিংস অ্যাড আইকন অপশনটিকে অফ করে দিন।
৪. গুগল প্লে স্টোরে চেনা-অচেনা বহু অ্যাপ থাকে। যা ডাউনলোড করার আগে আপনার অনুমতি চায়। সবসময় সব ধরনের থার্ড পার্টি অ্যাপকে পারমিশন দেবেন না। অ্যাপ অ্যান্ড নোটিফিকেশনে গেলেই পারমিশন অফ করে রাখতে পারবেন।
৫. যে কোনও ওয়াই-ফাই কিংবা ব্লু টুথের সঙ্গে স্মার্টফোন কানেক্ট করবেন না। এতে ফোনেও যেমন একাধিক সমস্যা হতে পারে তেমন তথ্যর গোপনীয়তাও নষ্টের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই বদলে ফেলুন ওয়াই-ফাই ও ব্লু টুথ সেটিং।
আরও পড়ুন: Honda CB300R: বাজারে এল নতুন বাইক! মনকাড়া ফিচার্স দেখলেই কিনতে ইচ্ছে হবে আপনার