চাঁদে চাররাত কাটিয়ে ফেলল চন্দ্রযান-৩। পৃথিবীর সময় অনুযায়ী তা চারটি রাতের সমান হলেও চাঁদে অবশ্য একবেলাও কাটেনি চন্দ্রযান ৩-এর। আর এই সময়ের মধ্যে ঠিক কী কী করল রোভার প্রজ্ঞান? কতদূর পথ হাঁটল? কতটা মুনওয়াক হল তার? এই সমস্ত কিছু জানতেই মুখিয়ে রয়েছে ভারতবাসী।
ভারতের চন্দ্রযানের অংশ রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটিতে কাজ করতে শুরু করেছে। সেই মিশনেই প্রথমবার চন্দ্রপৃষ্ঠের গভীরে ঢুকে মাটির তাপমাত্রা মেপে দেখা হয়েছে। তাপমাত্রার তারতম্য ধরা পড়েছে প্রজ্ঞানের যন্ত্রাংশে। তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ইসরো (ISRO)।
আরও পড়ুন: Science News: লাগবে না ছুরি – কাঁচি, এবার আলো ও কণা দিয়েই হবে অস্ত্রোপচার, গবেষণায় নয়া পথের হদিশ
Chandrayaan-3 Mission:
Here are the first observations from the ChaSTE payload onboard Vikram Lander.ChaSTE (Chandra’s Surface Thermophysical Experiment) measures the temperature profile of the lunar topsoil around the pole, to understand the thermal behaviour of the moon’s… pic.twitter.com/VZ1cjWHTnd
— ISRO (@isro) August 27, 2023
রবিবার এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রথমবার রোভার প্রজ্ঞানের সংগৃহীত তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে চাঁদের গভীরতর মাটিতে উত্তাপ ক্রমশ কমছে। ইসরো হাতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি রেখচিত্রও প্রকাশ করেছে। টুইটে ইসরো লিখেছে, চন্দ্রস সারফেস থার্মোফিজিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট বা চ্যাটসি চাঁদের উপরিভাগের মাটির উত্তাপ নির্ণয়ণ করতে পেরেছে। এতে করে চাঁদের মাটি ও ভিতরের অংশের তাপজনিত গবেষণায় সুবিধা হবে।
চাঁদের মাটি পরীক্ষার জন্য ‘চেস্ট’ নামে একটি যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরো। চাঁদের মাটিতে তাপমাত্রার তারতম্য খতিয়ে দেখাই এর কাজ। চন্দ্রপৃষ্ঠের অন্তত ১০ সেন্টিমিটার গভীরে যেতে পারে এই চেস্ট। চাঁদের মাটিতে অন্তত ১০ রকম তাপমাত্রা খতিয়ে দেখতে পারে রোভার প্রজ্ঞানের এই যন্ত্র। এই বিশেষ যন্ত্রটি ও উদ্ভাবনী কৌশলটি তৈরি করেছে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের স্পেস ফিজিক্স ল্যাবরেটরি এবং তাদের সহযোগিতা করেছে আমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি।
আরও পড়ুন: Chandrayaan-3: চাঁদের পথে আর এক ধাপ চন্দ্রযান ৩-এর, তবে অবতরণের আগের ২০ মিনিট নিয়ে চিন্তা