Chandrayaan 3 : When Chandrayaan 3 Mission Will Begin And When It Will Touch Moon Surface

Chandrayaan 3 : লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু, আজ দুপুর ২:৩৫ নাগাদ রওনা দেবে চন্দ্রযান-৩

শুক্রবার দুপুরেই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান-৩। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে তার কাউন্টডাউন। শুক্রবার দুপুর ঠিক ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হবে। আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।

‘এলভিএম-৩’-এ চেপে রওনা দিচ্ছে চন্দ্রযান-৩। লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-৩ বা ‘এলভিএম-৩ এর আগেও বেশ কয়েকবার ব্যবহার করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি দক্ষতার কারণেই এই রকেটের উপর নির্ভর করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা‌। চার বছর আগে একেবারে শেষমুহূর্তে চন্দ্রযান ২-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় যে স্বপ্নভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল, চন্দ্রযান ৩-র হাত ধরে ফের সেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যন এস সোমনাথ জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ২-তে কী ত্রুটি হয়েছিল, তা খতিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই ত্রুটির ভিত্তিতে চন্দ্রযান-৩ নিয়ে এগিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা।

আরও পড়ুন: covid-19: কোভিডের মতো আরও এক মহামারী আসার আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের!

ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় অবতরণ করার কথা আছে। যে এলাকা চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখনও পর্যন্ত যে তিনটি দেশ চাঁদে পা রেখেছে, তারা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পারেনি। চাঁদের নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছে অবতরণ করেছিল। দক্ষিণ মেরুর সবথেকে কাছে অবতরণ করেছিল নাসার সার্ভেয়ার-৭। ১৯৬৮ সালে সেদিন ৪০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশের কাছে অবতরণ করেছিল। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব হল প্রায় ৩৮৪,৪০০ কিলোমিটার। পৃথিবী থেকে চাঁদে পৌঁছাতে ৪২ দিন মতো লাগবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, উৎক্ষেপণের প্রায় এক মাস পরে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে চন্দ্রযান-৩। অর্থাৎ ভারতের স্বাধীনতা দিবসের আশপাশে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়বে। আর সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী ২৩ অগস্ট চাঁদের মাটিতে পা দেবে ল্যান্ডার এবং রোভার।

ল্যান্ডারের মধ্যে রোভার থাকবে। যা চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়াবে। ১৪ দিন (পৃথিবীর দিন অনুযায়ী) সক্রিয় থাকবে। অর্থাৎ ১৪ দিন ‘প্রাণ’ থাকবে রোভারের। যে রোভারের ওজন ২৬ কিলোগ্রাম। চাঁদের মাটিতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে রোভার। চাঁদের মাটির বিভিন্ন উপাদান এবং খনিজ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। রোভারে সোলার প্যানেল, ক্যামেরার মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকবে। সেইসঙ্গে রোভারে দুটি পে-লোড থাকবে – APXS (চাঁদের মাটি নিয়ে গবেষণার জন্য রাসায়নিক ও খনিজ উপাদান সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করবে) এবং LIBS (যেখানে অবতরণ করবে, সেটার চারপাশে চাঁদের মাটি এবং পাথরের উপাদান সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করবে)।

আরও পড়ুন: Google Doodle: ফুচকা নিয়ে বিশেষ ডুডল গেম তৈরি গুগলের, কীভাবে খেলবেন? জানুন…