ইন্টারনেটের সৌজন্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি-র নাম এখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ওপেনএআই নামে যে সংস্থার তরফে বাজারে আনা হয়েছিল এই চ্যাটবটকে, তাদের তরফেই এবার সরিয়ে দেওয়া হল সংস্থার সিইও স্যাম অল্টম্যানকে।
২০২২ সালে চ্যাটজিপিটি মুক্তি পাওয়ার পরই টেক জগতে বিখ্যাত হয়ে যান স্যাম অল্টম্যান (৩৮)। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রপআউট মাত্র ১৯ বছর বয়সে লুপ্ট নামক একটি মোবাইল অ্য়াপ্লিকেশন তৈরি করেন। এটি ছিল লোকেশন বেসড সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। এরপরে ২০১৪ সাল অবধি তিনি রেডিটের সিইও ছিলেন। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে চ্যাটজিপিটি আত্মপ্রকাশ করার পর স্যাম অল্টম্যানই চ্যাটজিপিটির মুখ ছিলেন।
সংস্থার দাবি, অল্টম্যান নাকি কোম্পানির বোর্ডের কাছে তথ্য গোপন করছিলেন। তাই তাঁকে চ্যাটজিপিটি পরিচালনার দায়িত্বে আর রাখা হবে কিনা সে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি রিভিউ বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকেই অল্টম্যানকে মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, চ্যাট জিপিটি পরিচালনার ক্ষেত্রে বোর্ড আর তাঁর উপর ভরসা রাখতে পারছে না।
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চ্যাটজিপিটি আবিষ্কার এবং তা আরও উন্নত করে তোলার জন্য স্যামের অবদানের প্রতি সংস্থা কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে তাঁরা মনে করেন, কাজে এগোনোর পাশাপাশি নতুন নেতা তৈরি করে তাঁদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা উচিত।
২০১৬ সালে স্যাম ঘোষণা করেন, ওপেনএআই এমন একটি কৃত্রিম মেধা যার বুদ্ধি মানুষের বুদ্ধির সঙ্গে মিলবে। সংস্থার তরফে এই কৃত্রিম মেধার নাম দেওয়া হয় জিপিটি-১। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি ওপেনএআই আরও একটি কৃত্রিম মেধা দাল-ই তৈরির কথা ঘোষণা করে। গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববাজারে আত্মপ্রকাশ করে ওপেনএআই-র কৃত্রিম মেধা চ্যাটজিপিটি।
অল্টম্যানকে সিইও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর আপাতত মীরা মূর্তিকে সংস্থার অভ্যন্তরীণ সিইও হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।এদিকে, অল্টম্যানকে সংস্থা থেকে বিতাড়িত করার পরই ওপেনএআই-র সহ প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রোকম্যানও সংস্থা থেকে রিজাইন করেছেন।