কম দামি ফোন। এটুকু বললেই খালি চিনা কোম্পানিগুলোর নাম মনে পড়ে? এবার তাতে বদল আনতে চাইছে ভারত। ১২ হাজার টাকার চেয়ে কম দামে ডিভাইসের বাজারে চিনা সংস্থাদের রমরমা কমাতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের দাবি, নরেন্দ্র মোদী সরকার এমন পদক্ষেপ করতে পারে। যদিও এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি।
সস্তার চিনা মোবাইলে সরকারি কোপ পড়লে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শাওমি-সহ চিনের বেশ কয়েকটি স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা। কারণ, কমদামি স্মার্টফোনের ভারতীয় বাজারের অনেকটাই তাঁদের দখলে। স্মার্টফোন বাজারের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সংস্থা কাউন্টারপয়েন্টের দাবি, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ভারতে বিক্রি হওয়া মোবাইলের এক-তৃতীয়াংশই ১২ হাজার টাকার কমদামি। তাতে ৮০ শতাংশই শাওমির মতো বেশ কিছু চিনা সংস্থার দখলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: Elon Musk: টুইটার কিনছেন না ইলন মাস্ক, বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার ‘হুঁশিয়ারি’
এর জেরে মাইক্রোম্যাক্স এবং লাভার মতো দেশীয় সংস্থা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে বলে দাবি। অথচ শাওমি-সহ বেশ কয়েকটি চিনা সংস্থা এ দেশে পা রাখার আগে দেশের স্মার্টফোনের বাজারের অর্ধেকই দখলে রেখেছিল মাইক্রোম্যাক্স এবং লাভার মতো দেশীয় সংস্থাগুলি।চিনা সংস্থার বিপুল পুঁজি, দুরন্ত মার্কেটিং, কম দাম, ভাল স্পেসিফিকেশনের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না মাইক্রোম্যাক্সরা।সরকার যদিও আলাদাভাবে চিনা সংস্থাগুলিকে স্থানীয় সাপ্লাই চেইন, ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক এবং ভারত থেকে রপ্তানি করার অনুরোধ করছে। তার থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, ভারতের বাজারে চিনা বিনিয়োগের বিষয়ে, এখনও আগ্রহী নয়াদিল্লি। তবে তার জন্য যাতে স্থানীয় সংস্থাগুলির ক্ষতি না হয়, সে বিষয়েও ভাবছে কেন্দ্র।
সস্তার চিনা স্মার্টফোন বিক্রিতে কি সরকারি কোপ পড়বে? এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি দেশের প্রযুক্তি মন্ত্রক। অন্য দিকে, মুখে কুলুপ এঁটেছে শাওমি, রিয়েলমি বা ট্রানজিশনের মতো চিনা সংস্থাগুলিও।এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই Xiaomi-র শেয়ারে পতন হয়। সোমবার হংকংয়ে ট্রেডিংয়ের সময়ে বিপুল লোকসান হয়েছে। এক ধাক্কায় ৩.৬% কমে যায় শেয়ার দর। চলতি বছর শাওমির শেয়ার প্রায় ৩৫% কমেছে।
আরও পড়ুন: Hunter 350: রেট্রো লুকে হাজির রয়্যাল এনফিল্ডের ‘সবথেকে সস্তা’ বাইক, জানুন ফিচার্স