মঙ্গল গ্রহে (Mars) নাসার ক্যামেরায় ওঠা নয়া ফুটেজে দেখা এক অদ্ভূত বস্তুকে নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। নাসা -র এক ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মঙ্গলের মাটিতে মানুষের ঊরুর হাড় মিলেছে! অন্তত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হওয়া এক ছবিতে এমনটাই দেখা যাচ্ছে।
২০১৪-র কিউরিওসিটি নামের একটি রোভার মঙ্গল গ্রহে পাঠান আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। লাল গ্রহের বুকে বিশাল এলাকাজুড়ে ঘুরে বেড়িয়ে একাধিক ছবি পাঠিয়ে চলেছে এই নভোযান। সম্প্রতি তেমনই একটি ছবি বিশ্লেষণের সময় চোখ কপালে ওঠে NASA-র গবেষকদের। ছবিতে মঙ্গলের বুকে বড়সড় একটি হাড় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা।
গত মাসের শেষ সপ্তাহে সোশাল মিডিয়ায় কিউরিওসিটি রোভারের তোলা ছবি পোস্ট করে NASA। সেখানে ওই হাড়ের ছবিটি ছিল। যা দেখতে অবিকল মানুষ বা বাঁদর-শিম্পাঞ্জির মতো মনুষ্য আকৃতির প্রাণীর ঊরুর হাড়ের মতো। হাড়টির বেশ কিছু অংশ ক্ষইতে শুরু করেছে বলেও ছবিতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে।
আমেরিকার গবেষকদের একাংশের দাবি, যেহেতু মঙ্গল পৃষ্ঠের গভীরে জলের হদিশ মিলেছে, সেহেতু এটা স্পষ্ট যে একটা সময় গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। তবে কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেই প্রাণীগুলির বিলুপ্তি ঘটে। মানুষ বা মানুষের চেয়ে উন্নত জীব গ্রহটিকে শাসন করত বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
এই যুক্তি অবশ্য মানতে নারাজ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অপর অংশ। তাঁদের দাবি, মঙ্গলে প্রাণের সঞ্চার হলেও মানুষের মতো উন্নত কোনও জীবের অস্তিত্ব সেখানে ছিল না। গত একশ বছরের মধ্যে বেশ কয়েকবার এলিয়ান বা ভিন গ্রহের প্রাণী সেখানে নেমেছিল। হাড়টি তেমনই কোনও প্রাণীর বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
এই দুই যুক্তিই অবশ্য খারিজ করেছেন আরেক দল গবেষক। ছবিগুলি বিশ্লেষণ করে তাঁদের দাবি, মঙ্গলের বুকে আদৌ কোনও হাড় পড়ে নেই। কিউরিওসিটি আসলে একটি পাথরের ছবি পাঠিয়েছে। নানা কারণে যা ক্ষইতে ক্ষইতে অবিকল মানুষের ঊরুর হাড়ের আকার নিয়েছে।