বদলে যাচ্ছে সিম কার্ড কেনার নিয়ম।গত অক্টোবরের ১ তারিখ থেকেই নয়া নিয়মগুলি লাগু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। অবশেষে ডিসেম্বর থেকে নয়া নিয়ম চালু হচ্ছে। টেলিকম মন্ত্রকের তরফে বেশ কয়েকটি নিয়ম জারি করা হয়েছে এই নির্দেশিকায়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সিম কার্ড বিক্রেতা বা ডিলারদের এখন থেকে টেলি সংস্থাগুলির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। সিম নিয়ে চলা অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত হওয়া থেকে বিক্রেতাদের বিরত রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে তাঁরা যে সিম বিক্রি করবেন, সেই সিমগুলিও রেজিস্টার করাতে হবে। প্রতিটি পুলিশ ভেরিফিকেশনের দায়িত্ব টেলিকম অপারেটরকেই নিতে হবে। অন্যথায় প্রত্যেক ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য হবে। পাশাপাশি জেলও হতে পারে অভিযুক্তের।
যাঁরা সিম কার্ড বিক্রি করছেন, সেই ডিলারদের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি নিজেদের হাতেই রাখতে চাইছে সরকার। তার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় তাঁদের নথিভুক্ত থাকতে হবে। ১ ডিসেম্বর থেকে ১২ মাস পর্যন্ত নথিভুক্ত হতে পারবেন ডিলাররা।
যেসব ক্রেতারা আগের ফোন নম্বরের জন্য সিম কার্ড কিনছেন, তাদের আধার কার্ড ও ডেমোগ্রাফিক ডেটা জমা দিতে হবে। সব তথ্য জমা দেওয়ার পরেই সিম কার্ড নিতে পারবেন ওই ক্রেতা। নতুন নিয়ম অনুসারে, কোনও গ্রাহক যদি একটি নম্বর ছেড়ে দেন, তা হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ৯০ দিন পরেই নম্বরটি নতুন কোনও ক্রেতাকে দিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও, গ্রাহককে সিম বদলানোর জন্য সম্পূর্ণ কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে।
নতুন নিয়মে এক পরিচয়পত্রে বেশি পরিমাণে সিম কেনাও বন্ধ করল সরকার। এক পরিচয়পত্রে সর্বোচ্চ ন’টি সিম তোলা যাবে। ডিজিটাল জালিয়াতি ঠেকাতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তবে ব্যবসা এবং কর্পোরেট ক্ষেত্রে এক পরিচয়পত্রে ন’টির বেশি সিম তোলা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে যাঁদের কাছে সিম থাকবে, তাঁদের তথ্য ‘কেওয়াইসি’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জানাতে হবে।
কিন্তু কেন হঠাৎ সিম কার্ড কেনার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম আনল সরকার? সরকার জানিয়েছে, অনলাইন লেনদেনের সময় আর্থিক জালিয়াতি এবং ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ফোন করে টাকা হাতানোর অপরাধ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত।