এখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম আর অনলাইন স্ট্রিমিং সার্ভিসের দৌলতে ওয়াইফাই রাউটারের প্রয়োজন বেড়েছে। আজকাল প্রায় যে কোনও বাড়িতেই ঢুঁ মারলে খেয়াল করবেন ড্রয়িং রুমের দেয়াল থেকে, নয়তো বেডরুম থেকে উুঁকি মারছে সাদা-কালো নানা ধরনের, নানা প্রকারের রাউটার। আর সেটাই চিন্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। সারা রাত ওয়াইফাই চালিয়ে রাখার ফলে কী-কী ক্ষতি হচ্ছে আপনি জানেন?
- ওয়াইফাই থেকে প্রচুর পরিমাণে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন তৈরি হয়, যা শরীরের পক্ষে বিরাট ক্ষতিকর। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের কারণে শরীরে এমন কিছু রোগ দেখা দিতে পারে, যা খুবই বিপজ্জনক। অনেক সময় ওয়াইফাই থেকে যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বের হয়, তাতে মাথায় প্রভাব ফেলে। যে ঘরে রাউটার আছে, সেই ঘরে দীর্ঘক্ষণ থাকলে, আপনার মাথা ব্যাথার মতো সমস্যা দেখা দিতে থাকে।
- যদি সম্ভব হয়, তাহলে আজই শোয়ার ঘর থেকে ওয়াইফাই রাউটারটা অন্যত্র সিরয়ে ফেলুন। কারণ, নানা গবেষণা বলছে দীর্ঘ ৭-৮ ঘন্টা ওয়াইফাই রাউটারের গা ঘেঁষে থাকলে স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এমনকী দীর্ঘ সময় ধরে যদি শরীরের উপর ওয়াইফাই রেডিয়েশনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তাহলে নাকি বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: Chandrayaan 3 : লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু, আজ দুপুর ২:৩৫ নাগাদ রওনা দেবে চন্দ্রযান-৩
- ওয়াইফাই রেডিয়েশনের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবে শরীরে নানা বিরূপ পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যার মধ্য়ে অন্যতম হল অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা বৃদ্ধি। এই কারণে ক্যানসার রোগের আশঙ্কা বাড়ে।
- শোয়ার ঘরে ওয়াইফাই রাউটার মানেই ঘুমের বারোটা বাজতে সময় লাগবে না। ‘আর এফ’ রেডিয়েশনের প্রভাবে আমাদের দেহে মেলাটোনিন (melatonin) হরমোনের ক্ষরণ ব্য়হত হয়, যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম কমে যায়। আর এমনটা দিনের পর দিন ঘটতে থাকলে ইনসোমনিয়ার মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ঘুম ঠিক মতো না হওয়ার কারণে দেহের অন্দরেও নানা নেতিবাচক পরিবর্তন হতে শুরু করে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই ছোট-বড় নানা রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়
আরও পড়ুন: Tech Mahindra: AI ভবিষ্যৎ, ৮০০০ কর্মীকে বিশেষ ট্রেনিং এই টেক সংস্থার