বাংলার ভারোত্তোলক অচিন্ত্য শিউলিকে নিয়ে সারা দেশে চর্চা চলছে। সংসারের অভাব, দারিদ্রকে জয় করে তিনি কীভাবে এত বড় সাফল্য পেলেন, সেই গল্প জেনে অনেকেই অবাক।এক বাটি ঘুগনি আর ডিমসিদ্ধ পাওয়ার জন্য ধানের বস্তা মাথায় তুলে নিতেন। সেই অচিন্ত্য শিউলি (Achintya Sheuli) বার্মিংহামে মাথার ওপর তুলে ধরেছিলেন রেকর্ড ওজন। কমনওয়েলথ গেমসে (CWG 2022) সোনা জয়ের পর এবার পদোন্নতির পথে বাংলার ভারোত্তোলক।
সেনাবাহিনীতে কর্মরত পদকজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। বুধবার নয়াদিল্লিতে সেবাহিনীতে কর্মরত পদকজয়ীদের হাতে স্মারক ও নগদ পুরস্কারমূল্য তুলে দেন সেনাপ্রধান। সেখানে হাজির ছিলেন অচিন্ত্যও। যিনি সেনাবাহিনীতে সুবেদার পদে কর্মরত। তবে এবার পদোন্নতি পাওয়ার পথে তিনি।
ছেলের সাফল্য মায়ের আনন্দের শেষ নেই। কিন্তু হাওড়ার দেউলপুরের ভাঙা বাড়িতে ছেলের অর্জিত পদক ও ট্রফি রাখার ভাল জায়গা নেই। তাই নিজের ছেঁড়া শাড়িতেই ছেলের মহামূল্যবান পদক ও ট্রফিগুলি রেখেছেন অচিন্ত্য শিউলির মা।অচিন্ত্য শিউলির বাড়ি কলকাতা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে হাওড়া জেলার দেউলপুরে। অচিন্ত্যর মা জানান, বাড়িতে খাটের নিচে শাড়িতে জড়িয়ে অচিন্তার ট্রফি ও মেডেল রাখা আছে। সেখানেই ওগুলো সব থেকে বেশি নিরাপদ বলেও জানান তিনি।
কমনওয়েলথ গেমসে ৭৩ কেজি ওজন বিভাগে সোনার পদক জিতেছেন অচিন্ত্য। তাঁর মা পূর্ণিমা শিউলি ছেলেকে একটি আলমারি কিনতে বলেছেন। সেখানে তিনি ছেলের পদক ও ট্রফিগুলি রাখবেন বলে ঠিক করেছেন।
পূর্ণিমা শিউলী বলেছেন, ‘আমি জানতাম অচিন্তা যখন আসবে তখন সাংবাদিক, ফটোগ্রাফাররা আমাদের বাড়িতে আসবে। সেই জন্য আমি এই মেডেল-ট্রফিগুলো একটা স্টুলের ওপর রেখেছি যাতে তারা বুঝতে পারে আমার ছেলে কতটা প্রতিভাবান। আমি স্বপ্নেও ভাবিনি ও দেশের জন্য সোনার পদক জিতবে।