ভারতের কাছে ম্যাচ হেরে বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলল বাংলাদেশ শিবির। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসানের অভিযোগ যথার্থ হলে অ্যাডিলেডে ম্যাচ জিতে যাওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের।
ঠিক কী হয়েছে ঘটনাটা?
বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভারে ঘটেছে এই ঘটনা। অক্ষর পটেলের বলে ডিপ অফ-সাইডে বল ঠেলে দিয়ে রান নিতে যান লিটন দাস। কোহলি দাঁড়িয়েছিলেন পয়েন্টে। অর্শদীপ বল ছুড়ে ফেরত পাঠানোর সময়েই কোহলি বল কুড়িয়ে ছুড়ে দেওয়ার ভঙ্গি করেন। মাঠের দুই আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস এবং ক্রিস ব্রাউনের নজর এড়িয়ে যায় এই ঘটনা। তৃতীয় আম্পায়ারও আপত্তি করেননি। বাংলাদেশের দুই ব্যাটারের তরফেও কোনও প্রতিবাদ আসেনি।
আইসিসির ৪১.৫ ধারা অনুযায়ী, ব্যাটারকে কোনও ভাবে বাধা দিলে বা বিক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করলে আম্পায়াররা ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বিপক্ষ দলকে পাঁচ রান শাস্তি হিসাবে দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: BCCI AGM: বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় হাসিমুখে হাজির সৌরভ, ফের নতুন জল্পনা
So this is what Bangladesh's player, Nurul Hassan was talking about in the presser that umpires didn't listen on fake fielding by Kohli. According to ICC rules, there should have been 5 penalty runs here. Bangladesh lost by 5 runs in the end. pic.twitter.com/3GdnuluQuH
— Hassan Cheema (@Gotoxytop1) November 2, 2022
কী বলছে আইসিসির নয়িম:-
আইসিসির নিয়মে যদিও প্রকৃতই এমন ঘটনাকে ‘আনফেয়ার প্লে’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করার জন্য কোনও ফিল্ডার বল হাতে না থাকা সত্ত্বেও বল ছোঁড়ার নাটক করলে সেই ডেলিভারিটিকে ডেড-বল হিসেবে ঘোষণা করতে পারেন আম্পায়াররা। শাস্তি হিসেবে ব্যাটিং দলকে ৫ রান উপহার দেওয়ারও নিদান রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার নিয়মে।
ম্যাচের শেষে নুরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সবাই দেখেছি যে, মাঠ ভিজে ছিল এবং তার প্রভাব পড়েছে ম্যাচে। তাছাড়া ম্যাচে ফেক থ্রোয়েরও একটা ঘটনা ছিল, যাতে আমাদের পেনাল্টির ৫ রান পাওয়া উচিত ছিল। যদিও শেষমেশ তেমন কিছু ঘটেনি।’
উল্লেখ্য, বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশ ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ভারতের কাছে ৫ রানে পরাজিত হয়। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৪ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৭ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬৬ রান তোলার পরে বৃষ্টির জন্য ম্যাচ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে। বৃষ্টির পরে পুনরায় খেলা শুরু হলে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য পরিবর্তিত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫১ রানের। শেষমেশ বাংলাদেশ ১৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানে আটকে যায়।
আরও পড়ুন: T20 World Cup: হোটেল রুমের ভিডিয়ো ফাঁস, রেগে আগুন শর্মা বিরাট -অনুষ্কা