Brij Bhusan Singh: Delhi court orders framing of charges against ex-WFI chief Brij Bhushan Singh in sexual harassment case

Brij Bhushan Singh: মিলেছে প্রমাণ, যৌন হেনস্থা কাণ্ডে বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার চার্জ গঠন

লোকসভা ভোটের আবহেই দিল্লির কোর্টে বড় ধাক্কা ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের (Brij Bhusan Sharan Singh)। ভারতের কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি ও বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন মহিলা কুস্তিগিররা। শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট জানায়, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলায় পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়ঙ্কা রাজপুত এদিন বলেন, প্রধান অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের যথোপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ আদালত পেয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ১, ২, ৩, ৪, ও ৫ নম্বর নির্যাতিতাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা অর্থাৎ মহিলাদের সম্ভ্রমহানি এবং ৩৫৪ এ অর্থাৎ যৌন হেনস্তার পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষ্য মিলেছে।আদালত ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ৫০৬-এর ১ ধারায় ১ ও ৫ নম্বর নির্যাতিতার বিরুদ্ধে অপরাধের পর্যাপ্ত প্রমাণ পেয়েছে। যদিও বিচারক রাজপুত ব্রিজভূষণকে ৬ নম্বর অভিযোগকারিণীর অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছেন। একই সঙ্গে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এই মামলায় দ্বিতীয় অভিযুক্ত বিনোদ টোমরের বিরুদ্ধে আদালত ৫০৬-এর ১ ধারায় চার্জ গঠন করে। প্রথম অভিযোগকারিণীর বয়ানের সপক্ষে এ ব্যাপারে প্রমাণ মিলেছে বলে আদালত বলেছে। বাকি অপরাধের ক্ষেত্রে টোমরকে রেহাই দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, ব্রিজভূষণ এবং টোমর দুজনেই বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। টোমর কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সহকারী সচিব। প্রসঙ্গত, দিল্লি পুলিশ গত মাসে তাঁদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ধারায় চার্জশিট পেশ করেছিল। এদিন সেগুলির উপর ভিত্তি করেই চার্জ গঠন করে আদালত।

গত একবছর ধরে দিল্লির কোর্টে এই মামলা চলছে। গত মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি থাকলেও তা মুলতুবি করা হয়। কিন্তু দিল্লির আদালতের রায়ে বিপাকে পড়লেন ব্রিজভূষণ। এর আগে তাঁর দাবি ছিল, যে সময়ে মহিলা কুস্তিগিররা হেনস্তার কথা বলে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সেই সময়ে তিনি ভারতেই ছিলেন না। তাঁর আর্জি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের আরও তদন্ত করা হোক। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। চলতি লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিটও দেয়নি বিজেপি। বদলে তাঁর ছেলেকে প্রার্থী করা হয়েছে কাইজারগঞ্জ থেকে।

ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ ছিলেন সাক্ষী মালিক। আদালতের রায়ের পরে একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “এটা আমাদের লড়াইয়ের জয়। এটা ছোট মেয়েদের শেখাবে প্রতিবাদ করতে হয়। আমরা একটা উদাহরণ তৈরি করে রাখলাম। আশা করছি, ও শাস্তি পাবে। আমরা অনেক কঠিন সময় দেখেছি, এখন তার সুফল পাচ্ছি। কিন্তু এখানেই থামব না। আমরা শুধু ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই।”