প্রাক্তন ক্রিকেটার পঙ্কজ রায়ের বাড়িতে পরিচারিকাকে নৃশংসভাবে নিগ্রহের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনায় কেন অপেক্ষাকৃত লঘু ধারায় শ্যামপুকুর থানায় মামলা রুজু পুলিশের, প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এই ঘটনায় ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী ২১ অগাস্ট পুলিশকে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফ থেকে।
শুক্রবার শ্যামপুকুর থানায় লিপিকা ঘোষ নামের এক মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মিতা রায় এবং পুস্কর রায়ের বিরুদ্ধে। যাঁরা কি না কুমোরটুলি পার্কে বিখ্যাত পঙ্কজ রায়ের (Pankaj Roy) বাড়ির বাসিন্দা। সূত্রের খবর, লিপিকা কুমোরটুলি পার্কে পঙ্কজ রায়ের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে পরিচারিকার কাজ করছেন। সেই তিনি শ্যামপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন যে, তাঁকে প্রবল মারধর করা হয়েছে। যা করেছেন মিতা রায় এবং পুস্কর রায়।
আরও পড়ুন: Harmanpreet Kaur: স্টাম্প ভাঙার জন্য শাস্তি, দু’ম্যাচ নির্বাসিত হরমনপ্রীত, এশিয়ান গেমসে চাপে ভারত
তিনি আরও লিখেছেন, অতীতেও তাঁকে মারধর থেকে গালিগালাজ–অনেক কিছুরই সম্মুখীন হতে হয়েছে। মিথ্যে চুরির অপবাদে। কিন্তু এবার নিগ্রহের মাত্রা এতটাই বেলাগাম ছিল যে, তাঁকে হাসপাতালে যেতে হয়। অতএব, তিনি বিচার চান, সুরক্ষা চান।
পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টে ওই মহিলা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে বলে তার উপর অত্যাচার আরও বেড়ে যায় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন এক মামলকারী। হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলা ওঠে। বিচারপতি পুলিশকে প্রশ্ন করেন, “এমন কেসে কেন লঘু ধারায় মামলা দায়ের হল?” ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২১ অগস্ট রিপোর্ট পেশ করতে হবে পুলিশকে।
আরও পড়ুন: Manoj Tiwari: পাঁচ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত বদল, অবসর ভেঙে আবার ক্রিকেটে ফিরছেন মন্ত্রী মনোজ