চেন্নাই সুপার কিংস: ২৩৫/৪ (কনওয়ে-৫৬, রাহানে-৭১, দুবে-৫০ কুলবন্ত-৪৪/২)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৮৬/৮(রয়-৬১, রিঙ্কু-৫৩*)
৪৯ রানে জয়ী চেন্নাই সুপার কিংস
এ দিন ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে সত্যিই বোঝা যাচ্ছিল না কোন মাঠে খেলা হচ্ছে? মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে দেখতে রবিবাসরীয় ইডেন গার্ডেন্সে যে হলুদ ঝড় উঠবে সেটা জানা ছিল। কিন্তু শহর কলকাতার গর্বের মাঠ যে এ ভাবে সর্ষের খেত হয়ে উঠবে সেটা হয়তো কল্পনাও করা যায়নি। বিকেল থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল। কলকাতার সমর্থক খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। যে দিকেই তাকানো যায় শুধু হলুদ জার্সি এবং পিঠে লেখা ধোনির নাম। সম্ভবত ধোনির শেষ ম্যাচে এ ভাবেই কলকাতা আপন করে নিল শহরের জামাইকে।
প্রায় তিন বছর পর ইডেনে পা রেখেই রাজত্ব করলেন ধোনি (MS Dhoni)। বলা ভাল ধোনির চেন্নাই। কনওয়ে, রাহানে, শিবম দুবেদের দুর্দান্ত ইনিংসে কেকেআরের সামনে তৈরি হল রানের পাহাড়। যে পাহাড়ের শিখর ছোঁয়া ছিল কার্যত অসম্ভব। কারণ উলটো দিকে যে বোলারই থাকুন না কেন, নেপথ্য মগজাস্ত্রের নাম ধোনি। তাই ঘরের মাঠেও যেন একেবারে ‘এক ঘরে’ হয়ে গেলেন নীতীশ রানারা।
বাংলাদেশি ব্যাটার লিটন দাসকে নিয়ে এক ম্যাচেই মোহভঙ্গ হয়েছে কেকেআরের। তাই এদিন তাঁকে আর প্রথম একাদশে রাখা হয়নি। তবে ওপেন করতে নেমে ব্যর্থ সুনীল নারিন (০)। মাত্র ১ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরেক ওপেনার জগদীশন। ইনিংসের ৭০ রানের মধ্যে ভেঙ্কটেশ আইয়ার (২০) ও রানাকে (২৭) ফেরান চেন্নাই বোলাররা। আরও একবার ম্যাচের হাল ধরেন সেই রিঙ্কু সিং। তবে শ্রেয়স আইয়ারের পরিবর্ত জেসন রয় এদিন নিজের সেরাটা উজার করে দিয়েছিলেন। চাপের মুখে ২৬ বলে ৬১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তবে তাঁদের লড়াই জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না, এই যা। কিন্তু বারবার ব্যর্থ একসময় নাইটদের একাহাতে জয় এনে দেওয়া তারকা আন্দ্রে রাসেল। আর সেটাই ভাবাচ্ছে কেকেআরকে।
হতাশার দিনে তবু কলকাতা আশা দেখেছিল একজনের ব্যাটে। জেসন রয়। ইংরেজ ক্রিকেটার ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন। বাইশ গজে নেমেও এক বার রান আউট হতে হতে বাঁচলেন এবং হাঁটুতে আবার চোট পেলেন। তা সত্ত্বেও মারকুটে ব্যাট করে কলকাতাকে স্বল্প সময়ের জন্যে হলেও আশা দেখালেন। কিন্তু ম্যাচটা শেষ করতে পারলেন না। অর্ধশতরান করলেও মাহিশ থিকশানার একটি বল বুঝতে না পেরে বোল্ড। আশা শেষ। রিঙ্কু সিংহ ক্রিজে অনেক ক্ষণ ছিলেন বটে। কিন্তু যে পরিমাণ রানের চাপ মাথার উপরে ছিল, তাতে একার হাতে জেতানো কোনও ভাবেই সম্ভব ছিল না।