দেশের জিমন্যাস্টিক্স যিনি বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন, সেই দীপা কর্মকারকে (Dipa Karmakar) নাকি সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমনই তথ্য ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনে। তবে কী কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে দেশীয় জিমন্যাস্টিক্সের পোস্টার গার্লকে তার বিস্তারিত উল্লেখ নেই সেই ওয়েবসাইটে।
সেই ওয়েবসাইটে বিস্তারিত জানানো না হলেও ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা ডোপ পরীক্ষায় বসার জন্য তাঁকে ডেকেছিল এফআইজি অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন। কিন্তু দীপা সেই পরীক্ষায় বসেননি। এড়িয়ে গিয়েছেন তা। ডোপ পরীক্ষায় না বসার জন্যই ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন তাঁকে সাময়িক ভাবে সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু কেন তিনি ডোপ পরীক্ষায় বসলেন না? সে ব্যাপারে রহস্য থেকেই যাচ্ছে।
এই মুহূর্তে দীপা রয়েছেন আগরতলায়। সাসপেনশনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া থেকে দূরে থেকেছেন তিনি। তবে দীপার কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী সোমবার বলেছেন, “দীপা এই মুহূর্তে আগরতলায়। ও জাতীয় শিবিরের অঙ্গ নয়। আচমকাই এই বিষয়টা জানতে পেরে দীপা নিজেও হতবাক হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই কারণটি খুঁজে বার করার চেষ্টা করছি, কেন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন ওকে ‘সাসপেন্ডেড’ বলছে। এই ব্যাপারে সংস্থার সঙ্গে কোনও কথোপকথনও হয়নি আমাদের। যখনই আমরা এর উত্তর জানতে পারব, সকলকে জানিয়ে দেব।
২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক্সে (Rio Olympics 2016) প্রোদুনোভা ভল্টে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন ভারতের দীপা কর্মকার (Dipa Karmakar)। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক্সে (Rio Olympics 2016) প্রোদুনোভা ভল্টে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন ভারতের দীপা কর্মকার (Dipa Karmakar)। গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় শিবিরে গিয়েছিলেন দীপা। ছিলেন ত্রিপুরার আরও জিমন্যাস্ট। প্রথম ট্রায়ালে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেয়েছিলেন দীপা। দ্বিতীয় ট্রায়ালে দীপা নামেননি। তাঁর এই সিদ্ধান্ত অবাক করে দেয় সবাইকে। কেন যে তিনি আর দ্বিতীয় ট্রায়ালে নামলেন না, তা জানা নেই কারওরই। প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে যে, দীপা কি তাহলে আন্তর্জাতিক আঙিনা থেকে অবসর নিয়ে ফেললেন!