যুবভারতীতে রবিবার সন্ধেয় গ্যালারি উপচে পড়েছিল। তবে ডুরান্ড কাপের গ্রুপ লিগে দুই প্রধানের খেলা মন ভরাতে পারে না শুরুর দিকে। ধীরে ধীরে ম্যাচের ছবি বদলাতে শুরু করে। প্রথমার্ধে সুমিত পাসির আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। শেষ অবধি দুই দল আর কোনও গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে দলে একঝাঁক পরিবর্তন করেও লাভ হয়নি ইমামি ইস্টবেঙ্গলের। বরং গোলে কমলজিৎ সিং না থাকলে আরও গোল খেত ইস্টবেঙ্গল। রবিরাতে বাজিমাত করল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। তরতরিয়ে এগিয়ে গেল পালতোলা নৌকা। এই নিয়ে টানা ছয় বার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ডার্বিতে জিতল সবুজ-মেরুনরা। ডার্বির রং ফের একবার সবুজ-মেরুন।
এই ম্যাচে লড়াই ছিল মূলত সবুজ-মেরুন আক্রমণের বিরুদ্ধে লাল-হলুদ রক্ষণের। তারকা-সমৃদ্ধ এটিকে মোহনবাগানকে আদৌ ইমামি ইস্টবেঙ্গল আটকাতে পারে কি না, পরীক্ষা ছিল তারই। এই ম্যাচ দেখে বলা যায়, সেই কাজে সফল কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। ভারতের কোচ থাকার সময়ে রক্ষণে জোর দিয়ে প্রতি আক্রমণকে অস্ত্র করতেন তিনি। লাল-হলুদের কোচ হয়েও তাঁর মনোভাবে বদল নেই। দল গঠনে দেরি হলেও গত বারের থেকে ভাল ফুটবলার রয়েছে দলে। এই ফলাফলের পর ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিতে হলেও বাকি মরসুমের ফল ভাল হতেই পারে।
প্ৰথম একাদশে এদিন পাঁচ বদল। ইস্টবেঙ্গল একাদশে পাঁচ পরিবর্তন এনেছিলেন কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। অনিকেত, অমরজিৎ, তুহিন, সুহেরকে প্ৰথম একাদশে রাখেননি কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। অন্যদিকে, ফার্নান্দো ডিপ ডিফেন্সে পোগবা, কার্ল ম্যাকহিউকে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Chahal-Dhanashree: পদবী থেকে ছেঁটে ফেললেন ‘চাহাল’, বিচ্ছেদের পথে যুজবেন্দ্র-ধনশ্রী?
বিরতির বাঁশি বাজার ঠিক কয়েক সেকেন্ড আগে অবশ্য ম্যাচের প্ৰথম গোল করে যান সুমিত পাসি। এটিকে মোহনবাগানের জালে বল জড়াতে না পারলেও কর্ণার থেকে তোলা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পাসসি নিজেদের জালে বল ঢুকিয়ে দেন। ডার্বির পর লর্ড সুমিত পাসসিকে নিয়ে আরও ট্রোল, মিমের বন্যা বইলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বিরতির পর একসঙ্গে তিনটে বদল ঘটেছিল। ক্লেইটন সিলভা, হিমাংশু জাংরা, অনিকেত যাদবদের নামিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লাল-হলুদ বস স্টিফেন কনস্টানটাইন। ইংরেজ কোচের সেই ট্যাকটিকসেই ম্যাচে ফিরে আসে ইস্টবেঙ্গল।তবে ৫০ মিনিটে খলনায়ক পাসসি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ক্লেইটন বল ভাসিয়ে দিয়েছিলেন পাসসিকে লক্ষ্য করে। তবে পাসসি এসিস্ট করার বদলে সরাসরি গোলের হেড করেন এবং মিস করেন।
ম্যাচের বয়স যখন এক ঘন্টা। তখন দুই দলই একটি কতে বদল করে। ইস্টবেঙ্গলে অমরজিৎ নামেন সৌভিকের বদলে। অন্যদিকে, ফেরান্দো বৌমাসকে তুলে নামান মনবীরকে।
দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কয়েকটি সুযোগ আসে লিস্টন, কুরুনিয়ানদের কাছে। তবে আর গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান।
আরও পড়ুন: FIFA: স্বস্তির খবর ফিরল ভারতীয় ফুটবলে! সাসপেনশন তুলে নিল ফিফা