শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে পর্তুগালকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেল ফ্রান্স। এ বারের মতো ইউরো কাপ শেষ হয়ে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। হয়তো আর ইউরো কাপে দেখাই যাবে না তাঁকে।
পর্তুগাল আর ফ্রান্স ছাপিয়ে লড়াইটা যেন হয়ে উঠেছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও কিলিয়ান এমবাপের। কিন্তু বিশ্ব ফুটবলের বড় দুই তারকা নিজেদের মেলে ধরতে পারলেন না। দুজনই ছিলেন ভীষণ নিষ্প্রভ। ম্যাচের উত্তেজনা অবশ্য কম ছিল না। ইউরো কাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল ১২০ মিনিট। তাতেও হল না গোল। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেই টাইব্রেকার পর্তুগালকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়েছে ফ্রান্স। এতে বিদায় হয়ে গেছে পর্তুগালের। এমবাপের ফ্রান্স নাম লিখিয়েছে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে।
৬৪ থেকে ৭০ মিনিটের মধ্যে দুই দলের কাছেই গোল করার সুযোগ এসেছিল। প্রথম মিস্ করে পর্তুগাল। ভিটিনহার শট বাঁচিয়ে দেন ফ্রান্সের গোলকিপার মাইক মাইগনান। দু’মিনিট পরে বিশ্বকাপের ধাঁচে মিস্ করেন কোলো মুয়ানি। পিছন থেকে ভেসে আসা বলে শট নিয়েছিলেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে তা বাঁচিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। এ বার পর্তুগালকে বাঁচায় রুবেন দিয়াসের পা। মিনিট চারেক পরে ওসমানে দেম্বেলে দু’ফুট দূরে একা গোলকিপারকে পেলেও বাইরে মারেন। অতিরিক্ত সময়ের শুরুর দিকে রোনাল্ডো একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। বক্সের মধ্যে অরক্ষিত অবস্থায় থাকলেও বারের উপর দিয়ে বল উড়িয়ে দেন।
Thanks for nothing Joao what a painful way to end it💔 #Ronaldo #EURO2024 #Portugal pic.twitter.com/EgPhcOfxZW
— A (@AL7OMN1) July 5, 2024
টাইব্রেকারে উসমান ডেম্বেলে গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন। গোলরক্ষক উল্টো দিকে ঝাঁপ দেন। পর্তুগালের হয়ে প্রথম পেনাল্টি শট নেন রোনাল্ডো। বাঁ দিকে নেওয়া তার শট ঝাঁপিয়ে পড়েও আটকাতে পারেননি গোলরক্ষক। দ্বিতীয় শটে ফ্রান্সের গোল করেন ইউসুফ ফোফানা, পর্তুগালের বার্নার্দো সিলভা। তৃতীয় শটে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন জুলেস কোন্দে, পর্তুগালের হোয়াও ফেলিক্সের শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
চতুর্থ শটে গোল করেন ফ্রান্সের ব্র্যাডলি বারকোলা, পর্তুগালের নুনো মেন্দেস। ফ্রান্স পঞ্চম শট মিস করলে সুযোগ ছিল পর্তুগালের। কিন্তু পিছিয়ে পড়া পর্তুগালকে ফেরার সুযোগ দেননি থিও হার্নান্দেজ। লক্ষ্যভেদ করেন তিনি, উল্লাসে ফেটে পড়ে ফরাসি শিবির। পর্তুগাল শিবির ডুবে যায় হতাশায়।