মরক্কোর বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল সেমিফাইনালে। ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল ওয়ালিদ রেগ্রাগুইয়ের দলের। বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও মানুষের ভালোবাসা জিতে বিশ্ব মঞ্চ থেকে বিদায় নেয় মরক্কো। বেলজিয়াম, পর্তুগাল ও স্পেনকে পরাজিত করা দলটিকে ফুটবল ভক্তরা মনে রাখবে বহুদিন।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) আল বায়েত স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে মরক্কো। কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগে কেউ কল্পনাই করতে পারেনি মরক্কোর মতো দল সেমিফাইনালে খেলবে। তবে তা করেই দেখিয়েছে তারা। প্রথম আফ্রিকান দলের পাশাপাশি প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবেও বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছে তারা। সুনাম কুড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে।১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের অংশ থাকা দলটি এর আগে একবার জায়গা করে নিয়েছিলো শেষ ১৬’তে।
এই মরক্কোই গ্রুপ পর্বে বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া এবং কানাডার মতো দলের বিপক্ষে খেলেছে এবং সেমিফাইনালের আগে মাত্র একটি গোল হজম করেছে। তা-ও ছিল আত্মঘাতী। শেষ ষোলোতে তারা স্পেনকে হারিয়েছে। আর কোয়ার্টার ফাইনালে তারা হারিয়ে দিয়েছে রোনালদোর পর্তুগালকে। কিন্তু নকআউটে দুই ইউরোপের দলকে বিদায় করার পর তৃতীয় ইউরোপের দলের কাছে হেরে বিদায় নিলো মরক্কো। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও, সবার মন জয় করেছে আফ্রিকার দেশটি।
আরও পড়ুন: FIFA World Cup Qatar 2022: লড়াই করেও জিততে পারল না মরক্কো, বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্স
কাতার বিশ্বকাপের সব চেয়ে বেশি আলোচিত ঘটনা ছিল আশরাফ হাকিমির মাঠে সিজদায় পড়ে যাওয়ার কিংবা মায়ের সঙ্গে নাচের দৃশ্য। তবে বিদায় বেলাতেও মন করলেন মরক্কোর খেলোয়াড়রা। ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-০ গোলে হারার পরও অবনত হয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন দেশটির ফুটবলাররা। সৃষ্টিকর্তা যেটুকু সাফল্য দিয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
"We already made history," "We missed opportunity of the century", "I raise my hat to them"
Morocco may have fallen just short of reaching #FIFAWorldCup final, but fans hail their historic run despite defeat to reigning champions France https://t.co/oS6IrtKfK4
— TRT World (@trtworld) December 15, 2022
এসব কারণেই হয়তো হাকিমিদের মনে রাখবেন ফুটবল প্রেমীরা। মরক্কোর আরবি শব্দের বাংলা অর্থ হল পশ্চিমের রাজ্য। ইয়াসিন বুনো, হাকিম জাইছরা সেই পশ্চিমা রাজ্যে ফিরে যাচ্ছেন একরাশ ভালোবাসা নিয়ে। যে ভালবাসা সোনালি ট্রফির আলোকেও ম্লান করে দেয়। যে ভালোবাসা কেড়ে নেয় সেরাদের সব আলো। গোটা বিশ্বের ভালোবাসাতেই শিক্ত হল ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষের দেশ।
আরও পড়ুন: Lionel Messi : যাকে তাকে রেফারিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়! বললেন ক্ষুব্ধ মেসি