সব লড়াই শেষ হয়ে গেল। থেমে গেল প্রায় এক মাসের যুদ্ধ। শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালেই প্রয়াত হলেন সমর বন্দ্যোপাধ্যায়, ময়দান যাঁকে বদ্রু নামেই বেশি চিনত। ৯২ বছরের প্রাক্তন অলিম্পিয়ান এবং প্রিয় ফুটবলারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ময়দান এবং ভারতীয় ফুটবল মহলে।
করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গত ২৭ জুলাই বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল বদ্রুকে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গত কয়েক দিনে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছিল তাঁর। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল বদ্রুকে। ২৪ দিনের লড়াইয়ের পরে প্রয়াত হলেন তিনি।
আরও পড়ুন: CWG 2022: যুগ্ম ভাবে সেরা লাফ দিয়েও সোনা হাতছাড়া, নিয়মের জালে দ্বিতীয় শ্রীশঙ্কর! কেন?
১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত সাত বছর মোহনবাগান ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন বদ্রু। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। ৯২ বছরে থেমে গেল বদ্রুর পথ চলা। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামী, সুভাষ ভৌমিক, সুরজিৎ সেনগুপ্তর পরে ময়দান হারাল তার আরও এক প্রিয় ফুটবলারকে।
বদ্রুর প্রয়ানে শোকবার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘তারকা ফুটবলার সমর (বদ্রু) ব্যানার্জির প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।’ বাংলা ও ভারতীয় ফুটবলে বদ্রুর অবদান স্মরণ করে মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘তিনি ১৯৫৬ সালে মেলবোর্নে সামার অলিম্পিকসে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। এছাড়া মোহনবাগান, বালি প্রতিভা ক্লাব, বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে দলেও খেলেছিলেন। অংশ নিয়েছেন ডুরান্ড কাপ, কলকাতা ফুটবল লিগ, আইএফএ শিল্ড, রোভার্স কাপে। তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল অতুলনীয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৬-১৭ সালে তাঁকে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।’ বদ্রুর পরিবার ও অনুরাগীদের সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Chahal-Dhanashree: পদবী থেকে ছেঁটে ফেললেন ‘চাহাল’, বিচ্ছেদের পথে যুজবেন্দ্র-ধনশ্রী?