Former midfielder Surajit Sengupta dies aged 71

সত্তরে থামল দৌড়, প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত

The news nest : বৃহস্পতিবার দুপুরে চলে গেলেন শিল্পী ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত (Surajit Sengupta) । বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।কলকাতা ময়দানে তাঁর মতো শিল্পী ফুটবলার খুবই কম এসেছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। করোনা (COVID-19) আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। একাধিক কোমর্বিডিটি ছিল তাঁর। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। শেষের কয়েকদিন তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতিই হয়। কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। আজ শেষ হয়ে গেল তাঁর লড়াই। দৌড় থেমে গেল উইংগারের।

১৯৫১ সালের ৩০ অগস্ট সুরজিতের জন্ম। খিদিরপুর ক্লাবে ফুটবল জীবন শুরু করার পর কলকাতার তিন বড় ক্লাবেই খেলেছেন। হুগলির মানুষ সুরজিতের প্রথম বড় ক্লাব মোহনবাগান। ১৯৭২ সাল থেকে দু’বছর মোহনবাগানে ছিলেন। ১৯৭৪ সালে ইস্টবেঙ্গলে। সেই থেকে টানা ছ’বছর লাল-হলুদে খেলেন। ১৯৮০ সালে সই করেন মহমেডানে। পরের বছর ফের মোহনবাগানে। খেলেন তিন বছর। ময়দানের এমনকী একটা সময়ের দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গার ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। এছাড়া কলকাতার ২ প্রধানে খেলেছেন। সুরজিৎ সেনগুপ্তের অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে।

প্রবাদপ্রতীম ফুটবলারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করে শোক জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন সুরজিৎ। কুয়েতের বিরুদ্ধে একটি গোলও করেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল ছাড়া মহামেডানকেও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

খিদিরপুর ক্লাবের হয়ে ময়দানে আবির্ভাব ঘটে সুরজিতের। ১৯৭২ সালে মোহনবাগানে সই করেন তিনি। ১৯৭৪-এ ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেন। ১৯৭৯ পর্যন্ত খেলেছেন লাল-হলুদে। ১৯৭৪ সালে জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে তাঁর। খেলেন ১৯৭৯ পর্যন্ত। জাতীয় দলের জার্সিতে কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল করেছিলেন তিনি। সেটাই জাতীয় দলের হয়ে তাঁর একমাত্র গোল।১৯৭৮ সালে তিনি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ছিলেন। দেশের হয়ে খেলেছেন ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত। ১৯৭৬ সালে সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার অধিনায়ক হন।