ইংল্যান্ড: ৩৬৪/৯
বাংলাদেশ: ২২৬/১০
প্রথম ম্যাচে কিউইদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ে ফিরল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। বাংলাদেশকে ১৩৭ রানে ছেলেখেলা করে হারাল ইংরেজ বাহিনী।
এদিন টসে জিতেই ভুলটা করেছিলেন শাকিব। ব্যাটিং সহায়ক পিচে নিজেরা ব্যাটিং না করে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান তিনি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড শুরুটা দুর্দান্ত করে। প্রথম উইকেটের জুটিতেই ১১৫ রান তুলে দেন বেয়ারস্টো এবং মালান। বেয়ারস্টো ৫২ রানে আউট হলেও মালান ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তাঁকে সঙ্গত করেন জো রুটও (৮২)। একটা সময় মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড হয়তো ৪০০-র বেশি রান তুলে দেবে। তবে শেষদিকে কিছুটা কামব্যাক করে বাংলাদেশ। খানিকটা কমে রানের গড়। শেষপর্যন্ত ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় ৯ উইকেটে ৩৬৪ রানে।
আরও পড়ুন: Asian Games 2023: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়াডে সোনা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের
বিশাল রান চেজ করতে নেমে বাংলাদেশ চাপ বুঝতে পারল ধর্মশালায়। দ্বিতীয় ওভারেই রিস টপলের পেসে ঘেঁটে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান, শান্ত-কে তুলে নিয়ে যে ধাক্কা দিয়েছিলেন দীর্ঘদেহী ইংরেজ সিমার, সেখান থেকে আর বেরোতে পারেনি বাংলাদেশ। প্ৰথম পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান আউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ জয় কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। ৪৯/৪ হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের হয়ে বুক চিতিয়ে একাই লড়াই চালিয়ে গেলেন এতদিন তীব্র সমালোচিত লিটন দাস। ২১ তম ওভারে ওকসের বলে আউট হয়ে যাওয়ার আগে ৬৬ বলে ৭৬ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দিয়ে যান বাংলাদেশি তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটার। তবে অন্য প্রান্ত থেকে একদমই সাহায্য পাননি তিনি।
লিটন আউট হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ১২১/৫ হয়ে যায়। শেষদিকে টেলএন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে মুশফিকুর রহিম কোনওরকমে ৫১ করলেও কখনই মনে হয়নি ম্যাচে বাংলাদেশের আর কোনও সম্ভবনা রয়েছে। ইনিংস বিপর্যয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে মুশফিকুর-তৌহিদ হৃদয়ের (৩৯) ৪৩ রানের পার্টনারশিপ ছিল স্রেফ হারের ব্যবধান কমানোর।
ইংরেজ বোলারদের মধ্যে রিস টপলে একাই ৪ উইকেট দখল করেন। জোড়া উইকেট নেন ক্রিস ওকস। স্যাম কুরান, আদিল রশিদ, মার্ক উড এবং লিভিংস্টোন একটি করে উইকেট দখল করেন।
আরও পড়ুন: Shubman Gill: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন গিল, কেমন আছেন?