দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এলগারে আউট দিয়েও যেভাবে রিভিউতে লাইফলাইন দেওয়া হল, তাতে মেজাজ হারান বিরাট কোহলি। স্টাম্প মাইকে ক্যাপ্টেন ও তাঁর সতীর্থদের বিরক্তি প্রকাশ করে কিছু মন্তব্য করতেও শোনা যায়। যে ঘটনাকে ঘিরে নেটদুনিয়াতেও উত্তেজনার পারদ চড়ে। তবে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসে দলের বোলিং কোচ বুঝিয়ে দিলেন, এই বিষয়ে তিনি ও টিম ম্যানেজমেন্ট কোহলির পাশেই আছেন।
কেপ টাউন টেস্টের তৃতীয় দিনে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বল ডিন এলগারের পায়ে লাগে। এলবিডব্লিউ-র আবেদন করলে মাঠের আম্পায়ার মারিয়াস ইরাসমাস আউট দেন। রিভিউ নেন এলগার। সেখানে দেখা যায় বল উইকেটের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। কিন্তু সেই ছবি মানতে পারেননি কোহলিরা। স্টাম্প মাইকের কাছে গিয়ে ভারত অধিনায়ক বলেন, “দারুণ ডিআরএস, খুব ভাল খেললে।” লোকেশ রাহুল বলেন, “গোটা দেশ খেলছে ১১ জনের বিরুদ্ধে।” কোহলিকে ফের বলতে শোনা যায়, “শুধু বিপক্ষ নয়, নিজের দলের দিকেও দেখো, সব সময় লোককে ধরতে চাইছে।”
Well done DRS Well done#SAvsIndia #DRS pic.twitter.com/558CIg6pm3
— Sportsfan Cricket (@sportsfan_cric) January 13, 2022
এক দিকের স্টাম্পে যখন এই ধরনের কথা উঠে আসছে, সেই সময় উল্টো দিকের উইকেটে কথা বলতে শোনা যায় অশ্বিনকে। তাঁর অভিযোগের তির দক্ষিণ আফ্রিকার সম্প্রচারকারী সংস্থার (সুপারস্পোর্ট) বিরুদ্ধে। বল-ট্র্যাকিং সিস্টেমকে বিবৃত করার অভিযোগ ওঠে। তিনি বলেন, “অন্য ভাবে জেতার পথ খোঁজা উচিত সুপারস্পোর্টের।” মাঠের আম্পায়ার ইরাসমাসও অবাক হন। জায়ান্ট স্ক্রিনে বল ট্র্যাকিং দেখার পর এরাসমাসকে স্পষ্ট বলতে শোনা যায় যে, ‘এটা হতেই পারে না।’
আরও পড়ুন: India vs South Africa: ৭ উইকেট তুলে নজির শার্দূলের, ২২৯ রানে গুটিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা
গোটা ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়াও। DRS নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় নেটিজেনরা। একাংশ এই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে দাবি করলেও অনেকেই বলছেন বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। শ্রীবস্ত গোস্বামীর মতো বাংলার ক্রিকেটার আবার বলছেন, এই ঘটনার জন্য এধরনের মন্তব্যের প্রয়োজন ছিল না। সিদ্ধান্তটা মেনেই এগিয়ে যেতে হবে।
টিম ইন্ডিয়ার (Team India) বোলিং কোচ পরশ মামব্রে সাংবাদিক বৈঠকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রত্যেকেই মাঠে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে অনেকেই অনেক কিছু বলে ফেলে। খেলায় এমনটা হয়েই থাকে। তবে সব পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হয়।” তবে বল-ট্র্যাকিং সিস্টেমকে সত্যিই বিবৃত করা হয়েছে কি না, তা ম্যাচ রেফারির উপরই ছাড়ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: SA v IND: পন্থের দুরন্ত সেঞ্চুরিতে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস থামল ১৯৮ রানে