নিলামের অন্যতম সেরা দাম পাবেন তা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে এভাবে যে রকেটের মত ঈশান কিষানের দাম ১৫ কোটি ছাড়িয়ে চলে যাবে, কেউ ভাবতে পারেনি। ভারতের এই তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে আবার ফিরে গেলেন ১৫.২৫ কোটিতে। হয়তো স্বাভাবিক ছিল এটাই। সাধারণত মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১০ কোটির ওপরে ওঠে না। কিন্তু এবার ঈশানকে ধরে রাখতে কতটা মরিয়া ছিল তারা বোঝা গেল।
আইপিএলের ইতিহাসে যুবরাজ সিং সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার। ১৬ কোটি টাকা দর উঠেছিল তাঁর। যুবির থেকে সামান্য দূরে থামলেন তিনি। নিলামের বাজারে ঈশানের এই দর রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। ঈশানের বেস প্রাইস ছিল ২ কোটি টাকা। শুরুতেই পঞ্জাব কিংস আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের উইকেটকিপারকে নিয়ে। দ্রুত ৫ কোটি টাকা দাম উঠে গিয়েছিল। তখনই মনে হয়েছিল ঈশাণ হয়তো ভেঙে দেবেন শ্রেয়সের দামের রেকর্ড। তাই হল, যখন লড়াইয়ে ঢুকে পড়ল সানরাইজার্স হায়দরাবাদও। কিন্তু নীতা আম্বানি ও আকাশ আম্বানি কিছুতেই ছাড়তে চাননি ২৩ বছরের ক্রিকেটারকে। শেষ পর্যন্ত বিপুল অর্থ দিয়ে তাঁকে কিনে নেয় ঈশান।
আরও পড়ুন: U19 World Cup: আহমেদাবাদে সংবর্ধনা, বোর্ডের থেকে ৪০ লক্ষ টাকা করে পাচ্ছেন রবিরা
I’m coming home @mipaltan ? pic.twitter.com/PBDAxPfZD7
— Ishan Kishan (@ishankishan51) February 12, 2022
কেন এত টাকা দর উঠল ঈশানের? তার একটাই কারণ। কিপার-ব্যাটার কুইন্টন ডি’কককে আগেই ছেড়ে দিয়েছিল মুম্বই। তরুণ কিপার হিসেবে ঈশানকেই বিকল্প হিসেবে ভেবে রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। এর পিছনে দুটো যুক্তি কাজ করেছে। এক, ওপেনার হিসেবেও খেলতে পারেন তিনি। গত আইপিএলের শেষ দিকে তিনি বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন পর পর। দুই, ভারতীয় টিমেও রয়েছেন তিনি। ফলে সাদা বলের ক্রিকেটে ঋষভ পন্থের মতোই টিমকে জেতানোয় মুখ্য ভূমিকা নেন। গত কয়েক বছর ধরে মুম্বইয়েই খেলছেন। এই সব কথা মাথায় রেখেই তাঁকে হাতছাড়া করতে চায়নি মুম্বই টিম ম্যানেজমেন্ট।
এখনও পর্যন্ত আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দাম উঠেছে ক্রিস মরিসের। ১৬.২৫ কোটি টাকায় তাঁকে কিনেছিল রাজস্থান। যুবরাজের ১৬ কোটির পরই প্যাট কামিন্সের ১৫.৫০ কোটি দর। কলকাতা তাঁকে বিপুল টাকায় কিনেছিল ২০২০ সালে। সর্বোচ্চ দামের রেকর্ডের তালিকায় প্রথম চারে ঈশান কিষান।
আরও পড়ুন: IPL Auction 2022: নিলাম চলাকালীন সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লেন সঞ্চালক হিউ এডমিডেস