Legendary footballer Subhas Bhowmick passed away

প্রয়াত ভারতের কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক

জীবনযুদ্ধের লড়াই শেষ। প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার তথা প্রবাদপ্রতীম বাঙালি কোচ সুভাষ ভৌমিক। কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। গত কয়েকদিনে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল। শনিবার ভোররাত সাড়ে ৪টে নাগাদ একবালপুরের বেসরকারি নার্সিংহোমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) আই লিগ জেতানো কোচ। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া ময়দানে।

দীর্ঘদিন ধরেই নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন কিংবদন্তি এই ফুটবলার। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে তাঁকে প্রায় নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হচ্ছিল। তার মধ্যে তিন বছর আগে তাঁর হৃদযন্ত্রে বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। সম্প্রতি কিছু দিন ধরে বুকে সংক্রমণের জন্য ভর্তিও ছিলেন একবালপুরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে।

আরও পড়ুন: Virat Kohli: অসততা করতে পারব না, বিবৃতি দিয়ে এ বার টেস্ট ক্যাপ্টেন্সিও ছেড়ে দিলেন বিরাট

শুক্রবারই অসুস্থ সুভাষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এগিয়ে এসেছিল তিন প্রধান এবং আইএফএ-ও। শুক্রবার বিকেলে সুভাষ ভৌমিকের ভবিষ্যৎ চিকিৎসার পরিকল্পনা নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী একটি জরুরি সভা ডেকেছিলেন। সেখানে ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্যরা। এ ছাড়াও ছিলেন আইএফএ-র সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, মোহনবাগান ক্লাবের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত, মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি কামারউদ্দিন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে দেবব্রত সরকার।

সুভাষের পুত্র অর্জুনও ছিলেন সেই সভায়। সেখানেই ঠিক হয়েছিল, অন্য হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করা হবে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমেই তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিডনি প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা ছিল চিকিৎসকদের। কিন্তু আর সময় দিলেন না ময়দানের ‘বুলডোজার’।

ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড ছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তাঁর সময়ে ফুটবল ময়দানে একের পর এক ফুল ফুটিয়ে গিয়েছিলেন। মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দাপিয়ে খেলেছেন। ভারতের হয়ে জিতেছেন এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক।

খেলোয়াড় হিসেবে সুভাষ ভোমিকের অধ্যায়টা যতটা রঙিন ক্যানভাসে বাধানো ছিল. তার চেয়ে বেশি সাফল্য তিনি পেয়েছেন কোচ হিসেবে। প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরু মেনে কোচ হিসেবে পথ চলা শুরু করেছিলেন। তার পর তো সবটাই ইতিহাস। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন ক্লাবে সাফল্যের সাথে কোচিং করিয়েছেন। তবে কোচ হিসেবে সুভাষের সেরা জয় হবে ২০০৩ সালে আশিয়ান ট্রফি। সুভাষ ভৌমিকের এই আকম্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ভারতীয় ফুটবল মহল।

আরও পড়ুন: T20 World Cup 2022: সূচি ঘোষণা আইসিসির, প্রথম ম্যাচে ফের পাকিস্তানের মুখোমুখি ভারত