মোহনবাগান ১ (দিমিত্রি পেত্রাতোস)
ইস্টবেঙ্গল ০
২৩ বছর পর ফের ডুরান্ড কাপ জিতল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। ২০০০ সালে ডুরান্ড কাপে জয়ের পর গঙ্গাপারেরর ক্লাব তাঁবুতে যে ডুরান্ড কাপ ঢোকেনি, সেটা অবশেষে ২০২৩ সালে কাটল। আর যে ছন্দে ডুরান্ড ট্রফি খরা কাটল মোহনবাগানের, তাতে জয়টা আরও বেশি মধুর হল। কারণ রবিবার যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ জিতেছে মোহনবাগান।
ইস্ট-মোহন ডার্বি মানেই অ্যাড্রিনালিনের বন্যা। আর রবিবাসরীয় যুবভারতীতে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল, তাতে উত্তেজনা ধরে রাখাই ছিল কঠিন। গত ডার্বিতে মোহনবাগানকে মাটি ধরানোয় আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। কিন্তু মোহনবাগান হুঙ্কার দিয়ে রেখেছিল, ‘এই মাঠেই বদলা নেব’। তাছাড়া শুধু তো ডার্বি জেতাই নয়, ঐতিহ্যের ডুরান্ড জয়ের হাতছানিও ছিল দুই দলের সামনে। সেই শেষবার ২০০০ সালে ডুরান্ড কাপ জিতেছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। কিন্তু ট্রফি আসেনি। অবশেষে সে এল। লাখো সমর্থকের প্রার্থনা, ফুটবলারদের প্রতিশোধের তাগিদ আর কোচের অ্যাটাকিং ফুটবলের স্ট্র্যাটেজিতেই হল বাজিমাত।
আরও পড়ুন: Lionel Messi: স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার! কলকাতায় আসছেন মেসি?
রবিবার জয়ের ফলে মোহনবাগানের ট্রফি ক্যাবিনেটে ডুরান্ড কাপের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭। সেইসঙ্গে ছাপিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলকে। রবিবাসরীয় যুবভারতীতে দশ জন হয়ে যাওয়ার পরেই গোল পায় মোহনবাগান। পেত্রাতোসের একমাত্র গোলেই জয় ছিনিয়ে নেয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এদিকে ইস্টবেঙ্গল ইনজুরি টাইম ধরলে আধ ঘণ্টার বেশি সময়ে বাগানকে দশ জনে পেয়েও কোনও সুবিধে নিতে পারেনি। তারা গোলের মুখই শেষ পর্যন্ত খুলতে পারেনি। উল্টে খারাপ ডিফেন্সের কারণে গোল হজম করেছে। যার নিটফল, ম্যাচ হারের পাশাপাশি শিরোপার দখল নিল মোহনবাগান।
পুরস্কারের তালিকা
চ্যাম্পিয়ন: মোহনবাগান
রানার্স: ইস্টবেঙ্গল
গোল্ডেন বুট- ডেভিড লালহানসাঙ্গা (মহমেডান স্পোর্টিং ৬ গোল)
গোল্ডেন গ্লাভস- বিশাল কাইথ (মোহনবাগান)
গোল্ডেন বল (টুর্নামেন্ট সেরা)- নন্দকুমার সেকর (ইস্টবেঙ্গল)
আরও পড়ুন: IND vs PAK Asia Cup 2023: রয়েছে বৃষ্টির ভ্রুকুটি, কী হবে ভারত পাকিস্তান ম্যাচ ভেস্তে গেলে?