অনেকদিনের স্বপ্ন পূরন করল মোহনবাগান। গতবার তারা জামশেদপুর এফ সির কাছে হেরে লিগ শিল্ড পায়নি। এবার আর ভুল করল না বাগান। প্রতিপক্ষ মুম্বইকে ঘরের মাঠে যুবভারতীতে ২-১ গোলে হারাল সবুজ মেরুন দল।
খেলার ১৯ মিনিটেই লিস্টন এগিয়ে দিতে পারতেন মোহনবাগানকে। তাঁর হেড মুম্বইয়ের পোস্টে লেগে পিরে আসে। সেই যাত্রায় লিস্টন ব্যর্থ হলেও তিনিই এগিয়ে দেন মোহনবাগানকে। খেলার বয়স তখন ২৮ মিনিট। মুম্বইয়ের পেনাল্টি বক্সের ভিতরে বল ধরে মেহতাব সিংকে নিয়ে ছেলেখেলা করলেন লিস্টন। তার পরে ডান পায়ের শটে মুম্বইয়ের জাল কেঁপে যায়। মোহনবাগান ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। তবে বিরতির আগে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মুম্বইয়ের ছাংতে। তিনি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন।
বিরতির পরে মুম্বই ঝাঁপিয়ে পড়বে এটা জানতেন হাবাস। তাঁর দল যে এদিন সব ধরনের চ্যালেঞ্জের জন্যই তৈরি ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে সাদিকু ও কাউকোকে তুলে নিয়ে কামিন্স ও হ্যামিলকে নামান হাবাস। সেই কামিন্সই ২-০ করে যান। পেত্রাতোসের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত রিসিভ করেন অজি তারকা। তার পরে বাঁ পায়ের দুরন্ত ফিনিশ। ৮৯ মিনিটে ছাংতে ব্যবধান কমান মুম্বইয়ের হয়ে।
এ বারের আইএসএলে শেষ মুহূর্তে গোল করে অনেক পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে মুম্বইয়ের। গ্যালারির ৬১ হাজার দর্শক আচমকাই নিস্তব্ধ। এখানেও সে রকম কিছু দেখা যাবে না তো। ম্যাচের শেষ দিকে দু’দলের খেলোয়াড়েরাই উত্তেজিত হয়ে পড়লেন। লাল কার্ড দেখলেন হ্যামিল। দশ জনে হয়ে যাওয়ায় রক্তচাপ আরও বেড়ে গিয়েছিল মোহন-সমর্থকদের। পরের দিকে ঝামেলার কারণে কামিংস এবং লাচেনপাকেও হলুদ কার্ড দেখানো হল। কিন্তু ম্যাচে আর ফিরতে পারল না মুম্বই। ঘরের মাঠে লিগ-শিল্ড জিতেই ইতিহাস তৈরি করল মোহনবাগান।
কোচ হাবাস দলকে সাজান ৩-৪-২-১ ছকে। এতেই ম্যাচে ফারাক হয়ে গিয়েছে। মোহনবাগানের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে কোনও কার্পণ্য করেননি সমর্থকেরা। মাঠ ভরিয়ে এসেছিলেন হাজার পঞ্চাশেক সমর্থক।