প্যারিস অলিম্পিক্সে সিঙ্গলসের দ্বিতীয় রাউন্ডের লড়াইয়ে জোকারের কাছে ১-৬, ৪-৬ ব্যবধানে হেরে গেলেন নাদাল। প্রিয় ফিলিপ শঁতিয়ের কোর্টে নাদাল যেন অতীতের ছায়া। ১ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের লড়াইয়ের পর অলিম্পিক্স সিঙ্গলসের তৃতীয় রাউন্ডে চলে গেলেন জোকার।
অলিম্পিকের সম্ভবত শ্রেষ্ঠ দ্বৈরথ ছিল আজ। রোলাঁ গারোর লালমাটিতে আজ ৬০-তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন নাদাল-জোকোভিচ। এককালে যে মহারণ উইম্বলডন থেকে ফরাসি ওপেন রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করাত দর্শকদের, আজ সেই লড়াইয়ের আশাতেই ফিলিপ শ্যাত্রিয়েঁ কোর্টে ভিড় উপচে পড়েছিল। গত দু’দিন আকাশের মুখ ভার ছিল প্যারিসে। আজ একেবারে খটখটে রোদ। কার্যত তিল ধারণের জায়গা ছিল না সুবিশাল এই টেনিস-ময়দানে।
বাইশটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের চোদ্দটিই এই ফরাসি ওপেনে জিতেছেন নাদাল। রোলাঁ গারোর কোর্ট তাঁর নিজস্ব রাজত্ব। এদিকে চব্বিশটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেও, এখনও অবধি অলিম্পিক সোনার পদক অধরা জোকোভিচের। বেজিং-এ তাঁকে হারিয়েই সোনা জিতেছিলেন নাদাল। কিন্তু এবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। বলা যায় জোকোভিচের বিরুদ্ধে তেমন লড়াইই করতে পারলেন না। মাঝে মাঝে বোঝা যাচ্ছিল না সত্যিই নাদাল খেলছেন কিনা। যে লাল সুরকির কোর্টে তিনি এক সময় অপ্রতিরোধ্য ছিলেন, সেই কোর্টেই সময় সময় অসহায় দেখাল নাদালকে।
জোকোভিচ ছিলেন চেনা ফর্মে। জানতেন, এই নাদাল আগের রাফায়েল নয়। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছেন পাওয়ার টেনিস দিয়ে। শক্তিশালী সার্ভিস, ব্যাকহ্যান্ড, ফোরহ্যান্ড তো ছিলই। দ্রুত কোর্ট কভারিংয়েও নাদালকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। টেনিসের সব বিভাগেই অনেকটা পিছিয়ে ছিলেন নাদাল। প্রথম সেটে ৩৯ মিনিটে ৬-১ ব্যবধানে নাদালকে উড়িয়ে দিলেন জোকোভিচ।
স্পেনের পতাকার চাইতেও যেন নাদাল-ভক্তে কানায় কানায় ভরে ছিল ফিলিপ শ্যাত্রিয়েঁ কোর্ট। কিন্তু তাতেও সার্বিয়ার শৌর্যকে শেষ অবধি আটকাতে পারেননি। ৬-১, ৬-৪ স্কোরে নাদালকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসলেন নোভাক জোকোভিচ। চলে গেলেন পরের রাউন্ডে। জিইয়ে রাখলেন নিজের অলিম্পিক সিঙ্গলসে সোনা জেতার স্বপ্ন।