এ কান্না আনন্দের। আমি আনন্দে কাঁদছি।২৪ বছরের কেরিয়ারের শেষদিনে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না রজার ফেডেরার । ম্যাচ শেষ করে সঞ্চালকের সঙ্গে কথা বলতে বলতে অঝোরে কাঁদলেন টেনিসের রাজা। কখনও স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে, কখনও সন্তানদের কাছে টেনে নিয়ে, কখনও সতীর্থদের আলিঙ্গন করে। তিনি কাঁদলেন, সেই সঙ্গে কাঁদল গোটা টেনিস বিশ্ব। কোর্টে আর দেখা যাবে না টেনিসের রাজাকে।
চোখে জল রজার ফেডেরারের। পিছনে দাঁড়িয়ে চোখের জল সামলানোর চেষ্টা করছেন পেশাদার টেনিস কেরিয়ারে ফেডেরারের সবথেকে বড় ‘শত্রু’ রাফায়েল নাদাল। ‘ফেডাল’-এর সেই বন্ধুত্ব, আবেগের বিস্ফোরণে কেঁদে ফেলল টেনিস দুনিয়াও। নেটিজেনদের মতে, বিশ্বের ক্রীড়া ইতিহাসের অন্যতম সেরা মন খারাপের এবং সেরা মুহূর্ত হয়ে থাকবে এই ফ্রেমটা।
খাতায়কলমে লেভার কাপ চললেও শুক্রবার (স্থানীয় রাতে) লন্ডনের ও’টু এরিনার মঞ্চ তৈরি ছিল ফেডেরারের জন্য। যত আগ্রহ ওই একটা ম্যাচ ঘিরেই। সঙ্গে ছিল আবেগ। পেশাদার টেনিস জীবনের শেষ ম্যাচ খেলতে যখন নাদালের সঙ্গে কোর্টে আসেন ফেডেরার, তখন স্রেফ আবেগের বিস্ফোরণ হয় ও’টু এরিনায়। শুধু তাই নয়, শেষবারের মতো ফেডেরারের ব্যাকহ্যান্ড, ভলি, ফোরহ্যান্ড দেখার আশায় বসেছিলেন বিশ্ববাসীও। যে ফেডেরার ২০২১ সালের উইলম্বডনের কোয়ার্টার-ফাইনালের পরে আর খেলেননি।
বিদায় বেলায় ফেডারার বলেন, “এতবছর যারা আমার পাশে ছিলেন তাঁদের ধন্যবাদ। যারা এতবছর ধরে আমার সঙ্গে গোটা বিশ্ব ঘুরেছে, তাদের ধন্যবাদ। আমার সতীর্থ, আমার প্রতিপক্ষ, সবাইকে ধন্যবাদ। আমার বিদায়ে যেন একটা উৎসব হচ্ছে। এটাই তো চেয়েছিলাম।” জীবনের শেষ ম্যাচে কেন নাদালকে সঙ্গী করলেন? কেনই বা সিঙ্গলস খেললেন না? ২০ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক বললেন,”আমি একা হয়ে যেতে চাইনি। বিদায় জানানোর সময় দলকে পাশে ছেয়েছি।” বিদায়বেলায় ফেডেক্স একা হননি ঠিকই, কিন্তু তাঁকে ছাড়া গোটা টেনিস বিশ্ব যেন একা হয়ে গেল।