ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সঙ্গে সংঘাতের জেরেই জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে সরতে হয়েছে রবি শাস্ত্রীকে (Ravi Shastri)। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এমনটাই দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন উইকেট কিপার রশিদ লতিফ (Rashid Latif)।
শোয়েব আখতার থেকে শুরু করে শাহিদ আফ্রিদি সবাই মুখ খুলেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক রশিদ লতিফ। জানালেন বোর্ডের সঙ্গে কোহলির যে বিবাদ আছে তা দেখা গিয়েছিল ২০১৭ সালেই।
বিরাট কোহলির টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছাড়ার জন্য এর আগেও প্রাক্তন পাক উইকেট কিপার সৌরভের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন। এবার তিনি ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ”রবি শাস্ত্রীকে কোচের পদ থেকে সরিয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ই। এগুলো সব শুরু হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে থেকেই।” রশিদ লতিফের বক্তব্য, শাস্ত্রীর কোনও কোচিং কোর্স ছিল না। তবুও তিনি সরাসরি কোচ হয়েছিলেন জাতীয় দলের।
একটি সাক্ষাৎকারে রশিদ লতিফ বলেন, “অনিল কুম্বলেকে অন্যায়ভাবে যখন সরানো হয় তখন থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। রবি শাস্ত্রী কোনও কোচিং প্রশিক্ষণ ছাড়াই কোচের পদে বসেন। অন্যদিকে শক্তিশালী গোষ্ঠী ছিল। কুম্বলে ৬০০-র বেশি উইকেট নিয়েছেন ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাহুল দ্রাবিড় তাঁর সতীর্থ ছিলেন।” তাঁর মতে, শাস্ত্রী টি-২০ বিশ্বকাপের পর কোচের পদ থেকে সরতেন না। তাঁকে সরতে বাধ্য করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “গাঙ্গুলি শাস্ত্রীকে বলেছেন, বস যাওয়ার সময় এসেছে। শাস্ত্রী কোচিং করাতে চাইলেও তাঁর পক্ষে সেটা আর সম্ভব ছিল না। এই পুরো জিনিসটা তৈরি হয়েছিল টি-২০ বিশ্বকাপের আগে। যার প্রভাব পড়েছে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের খেলার উপর। এই আক্রমণ প্রতি আক্রমণে ভারতীয় ক্রিকেটে প্রভাব ফেলেছে। ১৯৯০ সালে পাকিস্তান ক্রিকেটে এই জিনিসটাই হত।”
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে রবি শাস্ত্রীর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়, তা আগেও টের পাওয়া গেছে। বোর্ডের দায়িত্বে যখন সৌরভ ও জয় শাহ আসেন তখন রবি শাস্ত্রী শুধুমাত্র জয় শাহকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছিলেন।