বিসিসিআই সভাপতি পদ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নাকি ষড়যন্ত্র করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই অভিযোগ করে কলকাতা হাই কোর্টে দ্বারস্থ করা হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। তবে সৌরভের সাক্ষ্যেই সেই মামলা খারিজ হয়ে গেল। এদিকে মামলাকারীকে জরিমানা করা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই জরিমানা মুকুব করে দেওয়া হয়।
কলকাতা হাই কোর্টে মামলাটি করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, বিসিসিআই একটি স্বাধীন সংস্থা। সঠিক পদ্ধতিতে সভাপতি নির্বাচন করার অধিকার তাদের রয়েছে। তাই এই বিষয়ে কোনও জনস্বার্থ মামলা আদালত গ্রহণ করতে পারে না।
আরও পড়ুন: India vs Pakistan: প্রোটিয়াদের হার বদলে দিল অঙ্ক! খুলে গেল ভারত-পাক ফাইনালের সম্ভাবনা
আদালতে উপস্থিত ছিলেন সৌরভের আইনজীবীও। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে সৌরভের তিন বছরের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। তিনি সাফল্যের সঙ্গে নিজের কাজ করেছেন।’’ প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, নির্বাচনের মাধ্যমে কি বিনিকে সভাপতি পদে নিয়োগ করা হয়েছে? জবাবে সৌরভের আইনজীবী বলেন, ‘‘হ্যাঁ। নির্বাচনের মাধ্যমেই নিয়োগ করা হয়েছে। দ্বিতীয় বার নির্বাচনে আর মনোনয়ন জমা দেননি তিনি। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিনি। তাঁর প্রতি সৌরভের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’’
এ কথা শোনার পরে প্রধান বিচারপতি জানান, যাঁকে নিয়ে মামলা তিনিই জানাচ্ছেন কোনও অনিয়ম হয়নি। তাই মামলাটি খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি সৌরভের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘যে হেতু আপনার বিষয়ে মামলা করা হয়েছে, তাই আপনি কি চান এই মামলায় মামলকারীকে জরিমানা করা হোক?’’ জবাবে তিনি ‘না’ বললেও মামলাকারী রমাপ্রসাদকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে মামলাকারী ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় সেই জরিমানাও মকুব করে দেন বিচারপতি।
মামলকারীর বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র ছেলে যদি বোর্ড সচিব পদে থেকে যেতে পারেন, তাহলে সভাপতি হিসেবে সৌরভ কেন থাকবেন না! চক্রান্ত করেই সৌরভকে বোর্ড থেকে সরানো হয়েছে, বলে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo: বিশ্বাসঘাতকতা করেছে Man U, তাড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ রোনাল্ডোর