Tamim Iqbal reverses retirement decision after meeting Bangladesh PM

Tamim Iqbal: অবসরের ২৯ ঘণ্টা পর নাটকীয় প্রত্যাবর্তন! দিনভর তামিম চর্চা ওপার বাংলায়

বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, তাঁর ক্রিকেট জীবন শেষ। শুক্রবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ক্রিকেটে ফিরে এলেন  তামিম ইকবাল।

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে হারের পরদিনই তড়িঘড়ি করে তামিম সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, সব ধরনের ক্রিকেট থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করলেন। তামিমের আচম্বিতে নেওয়া সিদ্ধান্তে কেঁপে গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছিলেন, ‘‘এটাই আমার শেষ। আমি নিজের সেরাটা দিয়েছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। আমার ১৬ বছরের যাত্রাপথে পাশে থাকার জন্য সতীর্থ, কোচ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও আমার পরিবারকে অনেক ধন্যবাদ।’’ তামিম আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সমর্থকদেরও একটা বড় ধন্যবাদ প্রাপ্য। আশা করছি আগামী দিনেও আপনারা আমাকে ভালবাসবেন।’’

সাংবাদিক বৈঠকে তামিম নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। কেঁদে ফেলেন এই মারকুটে ওপেনার। অবসরের কথা জানালেও কেন হঠাৎ অবসর নিলেন, তার কোনও কারণ জানাননি তামিম। এ ভাবে সিরিজ়ের মাঝপথে অবসর নেওয়ার বিষয়েও মুখ খোলেননি তিনি।

আরও পড়ুন: Shane Warne : কোভিড ভ্যাকসিনে মৃত্যু শেন ওয়ার্নের! ভারতীয় বংশোদ্ভুত চিকিৎসকের দাবিতে চঞ্চল্য

বৃহস্পতিবার ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তামিম। শুক্রবার তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকেছিলেন হাসিনা। সেখান থেকে বেরিয়ে তামিম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দুপুরে তাঁর বাড়িতে আমাকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। ওঁর সঙ্গে আমার অনেক ক্ষণ আলোচনা হয়েছে। উনি আমাকে খেলায় ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি অবসর তুলে নিচ্ছি। সবাইকে না বললেও দেশের প্রধানমন্ত্রীকে না বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’’

অবসরের সিদ্ধান্ত বদলের নেপথ্যে হাসিনা ছাড়াও আরও দু’জন আছেন জানিয়ে তামিম বলেন, ‘‘আমার সিদ্ধান্ত বদলে ফিরে আসার পিছনে বাংলাদেশের বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন এবং মাশরাফি মোর্তাজার (বাংলাদেশের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক) ভূমিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে যখন যাই, তখন আমার সঙ্গে মাশরাফি ভাই এবং পাপন ভাই ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড় মাসের ছুটি দিয়েছেন। মানসিক ভাবে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে বলেছেন।” সেই মতোই বিশ্রামে যাবেন তামিম। ছুটি কাটিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন এশিয়া কাপে।

অন্যদিকে, তামিম অবসর নেওয়ায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে লিটন দাসকে অধিনায়ক করা হয়। তিনি দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন। লিটন এর আগেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে, এ বারের মতো অতীতেও অস্থায়ী ভাবেই দায়িত্ব সামলেছেন কেকেআরের এই ব্যাটার।

আরও পড়ুন: Wrestlers Protest: যৌন নিগ্রহ মামলায় বিপাকে ব্রিজভূষণ, আদালতে হাজিরার নির্দেশ বিজেপি সাংসদকে