আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে খারিজ হয়ে গেল ভিনেশ ফোগাটের আবেদন। অলিম্পিক থেকে রুপোর পদক জেতার আশাও শেষ হয়ে গেল ভারতীয় কুস্তিগিরের। উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার ভিনেশের আবেদনের রায় ঘোষণার কথা ছিল ক্রীড়া আদালতে। কিন্তু বুধবার আচমকাই বাতিল হয়ে যায় আদালতে ভিনেশের আবেদন।
অলিম্পিক ফাইনাল থেকে ডিসকোয়ালিফাই হওয়ার পরেই ক্রীড়া আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন ভিনেশ। সেখানে তাঁর আর্জি ছিল, যেহেতু নিয়ম মেনে তিনি ফাইনালে উঠেছেন তাই অন্তত রুপোর পদক দেওয়া হোক। তারকা কুস্তিগিরের হয়ে সওয়াল করেন হরিশ সালভের মতো বিখ্যাত আইনজীবীরা। কিন্তু বারবার শুনানি হওয়ার পরেও একাধিকবার রায়দান পিছিয়ে যায়। ভিনেশ দাবি করেছিলেন, মঙ্গলবার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন তিনি। তখন ওজন নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। তা হলে ফাইনালে না খেলতে পারায় তাঁকে অন্তত রুপো দেওয়া উচিত ছিল। সেই আবেদনেরই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত।
বুধবার ক্রীড়া আদালতের তরফে জানানো হয়,অলিম্পিক কুস্তিতে পদক দেওয়ার যে নিয়ম আগে কার্যকর ছিল, সেই নিয়মই বহাল থাকবে। ভিনে এবং ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে মেনে নিতে হবে সেই নিয়ম। অর্থাৎ, ৫০ কেজি ফ্রিস্টাইল কুস্তির ফাইনালে উঠেও ডিসকোয়ালফাই হয়েছেন ভিনেশ ফোগাট। অলিম্পিকের এই বিভাগের সকল প্রতিযোগীর মধ্যে তিনি থাকবেন সবার শেষে।
১৯৮৩ সালে গঠন করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত। খেলা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ সেখানে করা য়ায়। এই আদালতে ব্যক্তিগত ভাবে ক্রীড়াবিদেরা অভিযোগ করতে পারেন। আবার কোনও দেশের ক্রীড়া সংস্থাও সেখানে অভিযোগ করতে পারে। ক্যাস-এ আবেদন করলেই যে ভিনেশ রুপো পাবেন, এমন প্রত্যাশা কারওরই ছিল না। নিয়ম মেনে এই আবেদন করা হয়েছিল। অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যাবে। সেটাই নাকি হয়েছে।
ভারতীয় অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইওএ) সভাপতি পিটি ঊষা না কি রায় জানার পর ঘনিষ্ঠ মহলে হতাশা এবং বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। যদিও এ নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেননি কেউ। আগামী ১৬ অগস্ট ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সরকারি ভাবে রায়দান করা হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত।