হ্যান্ডশেক বিতর্কের রেশ এখনও জারি। তার মধ্যেই ইনস্টাগ্রামে সৌরভ গাঙ্গুলিকে আনফলো করে দিলেন বিরাট কোহলি। প্রাক্তন আরসিবি ক্যাপ্টেন আগে 276টি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করতেন। এখন তিনি আর সৌরভ গাঙ্গুলিকে অনুসরণ করছেন না। এমনটাই জানিয়েছে my khel.com.
As per https://t.co/JlMcJsNE2F, Kohli used to follow 276 accounts on Instagram, including Sourav Ganguly. pic.twitter.com/debeOz9OfO
— Akash Kharade (@cricaakash) April 16, 2023
আরও পড়ুন: IPL 2023: পরাজিত কোহলিকে ‘ঝুমে জো পাঠান’-এর তালে নাচালেন শাহরুখ
শনিবার আরসিবি বনাম ডিসি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন কোহলি ও গাঙ্গুলি। খেলা শেষে ম্যাচের সেরা কোহলি বিপক্ষ দলের সকলের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির ঠিক পিছনেই ছিলেন বিরাট কোহলি। অন্যদিকে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের প্রধান কোচ রিকি পন্টিংয়ের পিছনে ছিলেন সৌরভ। প্রথমে ডু প্লেসির সঙ্গে হাত মেলান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর ছিল বিরাট কোহলির পালা। ভিডিয়ো দেখে মনে হচ্ছে, বিরাটের মধ্যে হাত মেলানোর কোনও ইচ্ছেই ছিল না। ভিডিয়োয় পন্টিংকে কোহলির সঙ্গে হাত মেলাতে এবং সৌরভের সঙ্গে হাত মেলানোর ব্যাপারে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, তারপরও RCB তারকা সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। সৌরভ যখন বুঝতে পারেন কোহলি তাঁর সঙ্গে হাত মেলাবেন না, সেইসময় তিনি সরে এসে অন্য ক্রিকেটারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেন।
ম্যাচ চলাকালীনও একবার সৌরভ বনাম বিরাট দ্বৈরথ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। দিল্লির ১৮তম ওভারে বিরাট কোহলি ফিল্ডিং করার সময় একটি বল ধরে একটানা সৌরভের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এই ব্যাপারটি নিয়েও যথেষ্ট জলঘোলা শুরু হয়েছিল।
বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল বছর দেড়েক আগে, কোহলির (Virat Kohli) ওয়ানডে অধিনায়কত্ব চলে যাওয়া নিয়ে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর কোহলি বলেছিলেন যে, তিনি ওয়ানডে ক্যাপ্টেন্সি চালিয়ে যেতে চান। কিন্তু বোর্ড তাঁকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলে দেন, বিরাটকে বারণ করা হয়েছিল টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়তে। কিন্তু তিনি শোনেননি। যার পর নির্বাচকদের মনে হয়েছে, সাদা বলের ক্রিকেটে দু’জন অধিনায়ককে নিয়ে চলা সম্ভব নয়।
কিন্তু পরে কোহলি সাংবাদিক বৈঠকে বলে দেন, বোর্ড একবারও তাঁকে বলেনি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব না ছাড়তে। শুধু তাই নয়, তাঁর ওয়ানডে অধিনায়কত্ব যে যাচ্ছে, সেটাও নাকি জানানো হয় দল নির্বাচনের দিন মাত্র ঘণ্টা দেড়েক আগে। প্রকারান্তরে তৎকালীন বোর্ড (BCCI) প্রেসিডেন্টকে ‘মিথ্যেবাদী ‘বলে দেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। সে নিয়ে বোর্ডের অন্দরে মুষলপর্ব শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Sourav Ganguly: লাগাতার হারের জের, সৌরভদের ছাঁটাই করার পথে দিল্লি