টানা ১০ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল টিম ইন্ডিয়া (Indian Cricket Team)। খাতায়-কলমে এগিয়ে থেকেই মাঠে নেমেছিল রোহিত বাহিনী (Rohit Sharma)। অন্যদিকে প্রথম দু ম্য়াচে হারের পর টানা সব ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছেছিল প্য়াট কামিন্সের (Pat Cummins) অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলেছিলেন যে এই অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে যখন পৌঁছেছে, তখন তারা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতেই পারেন। ঠিক তেমনই হল। অন্তত ফাইনালের প্রথম ইনিংসের পর কিন্তু খেতাব জয়ের বিষয় নিশ্চিত হতে পারছেন না ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। স্টার্ক, কামিন্স, হ্যাজেলউডদের দাপটে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪০ রানের বেশি তুলতেই পারল না ভারতীয় দল।
বিশ্বকাপ ফাইনালের পাহাড়প্রমাণ চাপ। কোটি কোটি দর্শকের প্রত্যাশা আর অস্ট্রেলীয়দের নিয়মানুবর্তী বোলিং এবং অনবদ্য ফিল্ডিং যেন নতজানু করে দিল ভারতের বিশ্বখ্যাত ব্যাটিং বিভাগকে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুলরা (KL Rahul) খেললেন বটে, কিন্তু কেউই সেভাবে নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারলেন না। ফলস্বরূপ, ভারত এমন একটা স্কোরে আটকে গেল, যেখান থেকে জিততে হলে বোলারদের অনবদ্য, অবিশ্বাস্য কোনও কাণ্ড ঘটাতে হবে।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। দুটো দলই তাঁদের একাদশে কোনও বদল করেনি এদিন। মত্র ৪ রান করে শুভমন গিল প্যাভিলিয়নে ফিরলে রোহিত শর্মার সঙ্গে জুটি বাঁধতে আসেন বিরাট কোহলি। রোহিত শুরুতে মারমুখি মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন। ৪৭ রান করে এদিনও খারাপ শট খেলে ম্যাক্সওয়েলের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন। তবে বিরাট শুরু থেকেই ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ওয়াংখেড়েতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্য়াচে শতরান হাঁকিয়ে নিজের ওয়ান ডে কেরিয়ারের ৫০ তম শতরান পূরণ করেছিলেন। পেরিয়ে গিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকরকে। এদিন ৫৬ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করার পথে মাত্র ৪টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন কিং কোহলি।
এরপর বিরাট ফিরে যাওয়ার পর কে এল রাহুল ও সূর্যকুমার যাদব মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। কে এল রাহুল গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তিনি ৮৬ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। তবে ১০৭ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে তাঁকেও ফিরতে হয় স্টার্কের বলে ক্য়াচ আউট হয়ে। নিজের ইনিংসে মাত্র ১টি বাউনডারি হাঁকিয়েছিলেন কর্ণাটকী ব্য়াটার। এরপর সূর্যকুমার যাদব ১৮ রানের ইনিংস খেলেন। শ্রেয়স আইয়ার এদিন মাত্র ৪ রান করেন। এছাড়া কোনও ব্যাটারই আর সেভাবে রান পাননি।
অজি বোলারদের মধ্যে মিচেল স্টার্ক ৩ উইকেট নেন। ২টো উইকেট নেন কামিন্স ও হ্যাজেলউড। ১টি করে উিকেট নেন ম্যাক্সওয়েল ও জাম্পা। অস্ট্রেলিয়ার জিততে চাই ২৪১। আপাতদৃষ্টিতে এই রান অনেক কম। কিন্তু তবুও শামি, সিরাজ, বুমরারা যা ফর্মে রয়েছেন, তাতে অজিদের কিন্তু কাজটা অত সহজ হবে না। তাও এই স্লো পিচে।