গোটা বিশ্বজুড়ে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধের কালো মেঘ। গাজায় ক্রমশ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুমিছিল। তারই আঁচ এবার এসে পড়ল বিশ্বকাপের মহারণে। প্যালেস্টাইনের সমর্থনে শান্তির বার্তা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়লেন এক ভারতীয় সমর্থক। কিং কোহলির কাঁধে হাত রেখে যুদ্ধ বিরোধী বার্তা রাখলেন বিশ্ববাসীর কাছে।
ম্যাচের বয়স তখন ১৩ ওভার ৩ বল। ভারত ৩ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৯৩। ক্রিজে আছেন বিরাট কোহলি এবং কে এল রাহুল। আচমকাই নিরাপত্তারক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন ওই ব্যক্তি৷ পৌঁছে যান কোহলির একদম কাছে। সেই সময় দর্শকাসনে রয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।এই ঘটনাটা স্বাভাবিক ভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
সেই সময় বল করছিলেন অ্যাডাম জা ম্পা। ব্যাট করছিলেন বিরাট কোহলি। চতুর্থ বলের আগেই মাঠে ঢুকে পড়েন এক দর্শক। তিনি সটান চলে যান কোহলির কাছে। তাঁর সাদা জার্সিতে লেখা ছিল ‘স্টপ বম্বিং প্যালেস্তাইন’। অর্থাৎ প্যালেস্তাইনে বোমা ফেলা বন্ধ করো। তিনি কোহলিকে জড়িয়ে ধরেন।
স্বাভাবিক ভাবেই কোহলি অপ্রস্তুত হয়ে ওই দর্শককে সরিয়ে দিতে চান। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান। খেলা ৪৫ সেকেন্ড বন্ধ রাখতে হয়।গোটা ঘটনায় বিরক্ত হন বিরাট। কেএল রাহুলের সঙ্গে কথা বলতে আসেন তিনি। তারপর ফের শুরু হয় খেলা। কিন্তু দর্শকাসন থেকেই সবই দেখতে পেয়েছেন অমিত শাহ এবং তাঁর পুত্র তথা বোর্ড সভাপতি জয় শাহ। রাজনৈতিক বার্তাও নিশ্চয়ই তাঁদের নজর এড়ায়নি। ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে ওই আগন্তুককে বলতে শোনা যাচ্ছে, তার নাম জন আর সে অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছে।
A man entered the playground during the live match 🏏 between IND 🇮🇳 vs Australia 🇦🇺 in Ahmedabad stadium says, “My name is John…I am from Australia. I entered (the field) to meet Virat Kohli. I support Palestine#WorldcupFinal #WorldCup2023 #rohitsharma #viratkohli #INDvsAUS pic.twitter.com/tOjZWyu3FB
— Sachin Kumar (@SachinKumaaar) November 19, 2023
ফাইনালে মোদী আসবেন বলে ম্যাচের আগের দিন থেকে কড়া নিরাপত্তা ছিল। নির্ধারিত এলাকার বাইরে গেলেই তেড়ে আসছিলেন নিরাপত্তারক্ষী এবং পুলিশেরা। সঙ্গে সঙ্গে বার করে দিচ্ছিলেন সেই এলাকা থেকে। স্থানীয় পুলিশ এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে প্রত্যেকে সতর্ক ছিলেন। তা সত্ত্বেও সে ধরনের ঘটনা এড়ানো গেল না।