শাস্ত্র মতে, এবছর ১৭ সেপ্টেম্বর ৩১ ভাদ্র পড়েছে বিশ্বকর্মা পুজো। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, বিশ্বকর্মা পুজোর তিথি (ভাদ্র কৃষ্ণপক্ষ) সপ্তমী দিবা ঘটিকা ২টো ১৫ মিনিট পর্যন্ত। আবার গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা মতে, তিথি (ভাদ্র কৃষ্ণ পক্ষ) সপ্তমী ঘটিকা ৩টে ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত। আজ সকলকে জানান শুভেচ্ছা।
রাহুকাল সকাল ০৯ টা থেকে ১০.৩০টা পর্যন্ত। সপ্তমী তিথির পর অষ্টমী তিথি শুরু হয়ে দুপুর ২.১৫ মিনিট পর্যন্ত। রোহিণী নক্ষত্র শুরু হয় মৃগাশিরা নক্ষত্রের দুপুর ১২.২১টার পর। সিদ্ধি যোগ সূর্যোদয় থেকে শুরু হয় ব্যতিপাত যোগের পরের দিন সকাল ০৬.৩৩ পর্যন্ত। বাভ করণ কৌলভ করণ দুপুর ০২:১৫ মিনিটের পরে শুরু হয়। মধ্যরাতের পর রাত ০১:৪৪ পর্যন্ত বৃষ রাশির পর মিথুন রাশিতে চাঁদ গমন করবে।
সূর্যোদয়ের সময় ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২: সকাল ৬টা ৬ মিনিট।সূর্যাস্তের সময় ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২: বিকেল ৬টা ২৪ মিনিট।
আজকের শুভ সময় ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ।
ব্রাহ্ম মুহুর্ত ভোর ৪.৩৩ থেকে ৫.২০ পর্যন্ত। সকাল ১১.৫১ টা থেকে ১২.৪০ টা পর্যন্ত অভিজিৎ মুহুর্তা। বিজয় মুহুর্তা হবে দুপুর ২.১৮ থেকে ৩.৭ পর্যন্ত। নিশীথ কাল মধ্যরাত ১১.৫২ টা থেকে পরের দিন ১২.৩৯ টা পর্যন্ত। সন্ধ্যা ৬.১২ টা থেকে ৬.৩৬ টা পর্যন্ত। রবি যোগ সকাল ৬.০৭ টা থেকে ১২.২১ সকাল পর্যন্ত।
পুরাণ কী বলছে?
বরাহ পুরাণ অনুসারে, ভগবান ব্রহ্মা বিশ্বকর্মাকে সৃষ্টি করেছিলেন। একই সঙ্গে বিশ্বকর্মা পুরাণ অনুসারে আদি নারায়ণ প্রথমে ব্রহ্মা এবং তারপর বিশ্বকর্মার সৃষ্টি করেন। বিশ্বকর্মার জন্ম সংক্রান্ত যে সব কাহিনি শাস্ত্রে পাওয়া যায়, তাতে জানা যায় যে, বিশ্বকর্মা এক নয়, বহুজনও হতে পারেন। ধর্মগ্রন্থে ভগবান বিশ্বকর্মার বর্ণনা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, বিশ্বকর্মা হল এক ধরনের পদবি এবং উপাধি, যাকে বলা হত কারুকার্যের সর্বোত্তম জ্ঞানের অধিকারি। বিরাট বিশ্বকর্মা প্রথম, তারপর ধর্মবংশী বিশ্বকর্মা, অঙ্গিরাবংশী, তারপর সুধন্ব বিশ্বকর্মা। এক সময়ে শুক্রাচার্যের পৌত্র ছিলেন ভৃগুবংশী বিশ্বকর্মা।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবতাদের অনুরোধে, বিশ্বকর্মা মহর্ষি দধীচির হাড় থেকে ইন্দ্রের জন্য একটি শক্তিশালী বজ্র তৈরি করেছিলেন।
বিশ্বকর্মা প্রাচীনকালে সমস্ত বিখ্যাত শহর ও রাজধানী তৈরি করেছিলেন বলে মনে করা হয়। সত্যযুগের স্বর্গ, ত্রেতাযুগের লঙ্কা, দ্বাপরের দ্বারকা এবং কলিযুগের হস্তিনাপুর।বিশ্বকর্মা মহাদেবের ত্রিশূল, শ্রী হরির সুদর্শন চক্র, হনুমানের গদা, যমরাজের কালদণ্ড, কর্ণের কুণ্ডল এবং কুবেরের পুষ্পক বিমানও তৈরি করেছিলেন।