Alipore Zoo: Visitors in Kolkata zoo's aviary section to now watch birds from glass enclosure

Alipore Zoo: খাঁচাবন্দি মানুষদের অবাক চোখে দেখছে মুক্ত পাখির দল! এই বছর আলিপুর চিড়িয়াখানায় উলটপুরাণ

প্রতি বছরই শীতের সময় রাজ্যবাসীর আকর্ষণের অন্যতম জায়গা আলিপুর চিড়িয়াখানা। এবার নিরাশ হতে হবে না। উল্টে শীত জাঁকিয়ে পড়ার আগেই সোমবার থেকে চিড়িয়াখানায় বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য বন দফতর। তৈরি হল কাচের টানেল। মানুষ থাকবে তার ভেতরে। আর বাইরে কিচিরমিচির করবে একঝাঁক পাখি। সোমবার সেই টানেলের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। আজ থেকেই তা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল।

চিড়িয়াখানার স্বর্ণময়ী হাউজের পাশে নতুন একটি খাঁচা তৈরি করা হয়েছে। যা ৬০ মিটার লম্বা এবং প্রায় ৪ মিটার উঁচু কাচের তৈরি। কাঁচে মোড়া খাঁচায় ঢুকে ২০০ মিটারের কাছাকাছি যাওয়া যাবে। মানে একদম চোখের সামনে থেকেই তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করা যাবে। তবে সেখানে অন্য কোনও পশু নয়, রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এদিন খাঁচার উদ্বোধন করে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘পুরোটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। ওঁর নির্দেশেই বন দফতরের সবাই এক হয়ে কাজ করেছেন এবং এমন অভিনব জিনিস তৈরি হয়েছে।’

দেশের পাশাপাশি বিদেশে খাঁচার ভিতর থেকে পশুপাখিদের দেখা গেলেও বাংলায় এমন উদ্যোগ প্রথম। চিড়িয়াখানার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খাঁচা ভ্রমণের জন্য আলাদা টিকিট লাগবে না। ৫০ টাকা খরচ করেই সব কিছু দেখতে পাওয়া যাবে।  ইতিমধ্যে চিড়িয়াখানায় দর্শকদের জন্য ১৪ প্রজাতির ২০০ পাখি ছাড়া হয়েছে। সেখানে বিদেশি একাধিক পাখির মতো ময়ূর, ঘুঘু, টিয়া, ময়না ও চন্দনার মতো পাখিও রয়েছে। আগামীদিনে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে।  দর্শকেরা খুব কাছ থেকে তুলতে পারবেন পাখিদের সঙ্গে সেলফিও।   এছাড়া চিড়িয়াখানায় এসে পৌঁছেছে ৫ রকমের হরিণ। এসেছে ‘আলপাকা’ দক্ষিণ আমেরিকার এক বিশেষ প্রাণীও।

তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পাখিদের জন্য হলেও, এখনই বাঘ-সিংহ বা অন্য বন্যপ্রাণীদের ক্ষেত্রে এরকম কাচের টানেল তৈরি করার চিন্তাভাবনা এখনই নেই।