এক মহিলার স্তনদুগ্ধ দানের নজির অবাক করল তাবৎ বিশ্বকে। দুধ দান করার নিরিখেই বিশ্বসেরার শিরোপা জিতে নিলেন ওই মহিলা। সম্প্রতি সেই কারণে গিনিসের তরফে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় সেরার শিরোপাও।
এলিজাবেথ অ্যান্ডারসন সিয়েরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অরেগাওয়ের আলোহার বাসিন্দা। দুই সন্তানের মা এলিজাবেথের দুধ খেয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে সময়ের আগে জন্মানো শিশুও। ২০১৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার বুকের দুধ দান করে চলেছেন তিনি। ২০১৮ সালের ২০ জুন পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ দুধ দান করেছেন মিল্ক ব্যাঙ্কে।
গিনিস বিশ্ব রেকর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ১৫৯৯.৬৮ লিটার দুধ অন্য শিশুদের খাওয়াতে দান করেছেন এলিজাবেথ। তবে এতেই থেমে থাকেননি। ২০১৫ সাল থেকে লাগাতার দুধ দান করছেন তিনি। বর্তমানে সেই পরিমাণ ছাপিয়ে গিয়েছে দশ হাজার লিটার। গিনিস বুকের তরফে এলিজাবেথকে নিয়ে একটি ভিডিয়োও তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন: Tomato Price: তরকারিতে দু’টো টমেটো! ঝগড়া করে সন্তান-সহ স্বামীর বাড়ি ছাড়লেন স্ত্রী
সেই ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। এত পরিমাণ দুধ দান করার কারণ কী? এলিজাবেথ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটা যথেষ্ট গুরুতর একটি বিষয়। সন্তান জন্মের পর মায়ের বুকে দুধ পরিমাণমতো না এলে শিশুর বেড়ে উঠতে সমস্যা হয়। তখন শিশুর ওটাই একমাত্র খাবার। তাই এখনও নিয়মিত দুধ দান করেন।
এলিজাবেথ বলেন, ‘‘ন’বছর ধরে টানা দু্গ্ধদান করেছি। আমি চাই না দুধের অভাবে কোনও শিশুর মৃত্যু হোক। মোট কত জন শিশু আমার স্তনদুগ্ধ খেয়েছে, তা বোঝা অসম্ভব। তবে হাজার হাজার শিশু নিঃসন্দেহে এই দুধ খেয়েছে। কেবল আমার অঞ্চলেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অভিভাভকরা তাঁদের শিশুদের এই দুধ খাইয়েছেন।’’
তাঁর দুধ উৎপাদনের হারও ভিডিয়োতে জানিয়েছেন তিনি। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁর শরীর দুধ উৎপাদন করতে শুরু করে বলেই জানান তিনি। তাঁর দুধ স্থানীয়দের জন্য দান করেন এলিজাবেথ। তবে এর পাশাপাশি সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা শিশুদের কাছেও পৌঁছে যায় দুধ। এলিজাবেথের কথায়, তাঁর শরীর প্রচুর পরিমাণে প্রোল্যাকটিন হরমোন উৎপাদন করতে পারে। তাই দুধ উৎপাদনের হার এতটা বেশি। জন্মের নির্ধারিত সময়ের আগেই যে শিশুদের জন্ম হয়ে যায়, তাঁদের জন্যই নিজের স্তন্য মজুত করে সেগুলি দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: PUBG Lover: ‘হিন্দু হয়েছি, এখন ভারতই আমার দেশ!’ পাকিস্তানে ফিরে যেতে নারাজ সীমা