অবশেষে মাইক্রো ব্লগিং সাইট ‘ট্যুইটার’ কেনার চুক্তি সম্পন্ন করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ও মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠাতা টেসলার মালিক ইলন মাস্ক।প্রস্তাবিত ৪৪ বিলিয়ন ডলারেই বৃহস্পতিবার এ চুক্তি সম্পন্ন হয়।ট্যুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন হতেই প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেছেন ইলন মাস্ক। টুইটার সিইও পরাগ আগারওয়াল, চিফ ফাইন্যানসিয়াল অফিসার নেড সেয়গাল, সিএফও এবং আইন বিভাগের প্রধান বিজয়া গাড্ডেকে ইতোমধ্যে চাকরিচ্যূত করেছেন ইলন মাস্ক।
এর আগে পরাগ আগারওয়ালের বিরুদ্ধে প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ করেছিলেন মাস্ক।প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক টুইটারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার প্রচেষ্টা করছিলেন। এমনকি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।এরই মধ্যে সানফ্রান্সিসকোতে টুইটারের সদর দপ্তর ছেড়ে গেছেন পরাগ আগারওয়াল।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইলন মাস্ক এক বিবৃতিতে জানান, তিনি টুইটার অধিগ্রহণ করছেন। ‘মানবতার স্বার্থেই’ তার এই পদক্ষেপ বলে বার্তা দেন ইলন মাস্ক।
এক টুইট বার্তায় ইলন মাস্ক লিখেছেন, কেন আমি টুইটার অধিগ্রহণ করলাম সে ব্যাপারে সবাইকে জানাতে চাই। আরও অর্থ উপার্জনের জন্য এটি কিনিনি। মানবতার জন্য কিনেছি। মানবতার ভবিষ্যৎ এমন হওয়া উচিত, যেখানে সবার স্বাধীন মতামত প্রকাশের একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থাকবে। সুস্থ পরিবেশে বিতর্ক হবে।
ইলন মাস্ক এটাও বলেছেন, বর্তমানে বিপজ্জনক পরিস্থিতি রয়েছে, যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কট্টর ডানপন্থী ও কট্টর বামপন্থীদের কয়েকটি গোষ্ঠীতে ভাগ হতে চলেছে। যা সমাজে ঘৃণা ও বিভাজন বাড়াবে।
টুইটারে বিজ্ঞাপন নীতি কী হওয়া উচিত, সে ব্যাপারেও বার্তা দিয়েছেন ইলন মাস্ক। তার কথায়, বিজ্ঞাপন সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে, তা মানুষকে অনেক তথ্য পেতে সাহায্য করবে। অপ্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন ‘স্প্যাম’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
গত এপ্রিল মাসে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার খরচ করে টুইটার কেনার কথা ঘোষণা করেছিলেন ইলন মাস্ক। কিন্তু ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ক্ষেত্রে টুইটার যথাযথ পদক্ষেপ করছে না বলে দাবি করে সেই চুক্তি থেকে সরে আসেন তিনি। তার এ ঘোষণায় টুইটারের শেয়ার দর পড়তে থাকে। এর পরই আইনি লড়াই শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ইলন মাস্ক টুইটার কিনতে পারবেন কি না, এ নিয়ে সংশয়ও দেখা যায়। অবশেষে টুইটার অধিগ্রহণ করলেন তিনি।