২০২০ সালের আমফানের পর আরও এক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করছে রাজ্যবাসী। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির পরিস্থিতি অনুকূল। তাই ভয় আরও বাড়ছে। এই ঘূর্ণিঝড় এলে তার নাম হবে ‘রেমাল’। জানেন এই নামের মানে কী, আর কোন দেশ রেখেছে?
মৌসম ভবনের তরফেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণের জন্যও রয়েছে আলাদা সিস্টেম। এটি হল রিজিওনাল স্পেশালাইজড মেটেওরোজিকাল সেন্টার। আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর, ভারত মহাসাগরের উপরে তৈরি ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে সংলগ্ন দেশগুলিই। ১২টি দেশের সঙ্গে আলোচনা করেই নাম ঠিক করা হয়।
প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের নামগুলি ঠিক করে বিভিন্ন দেশ। এর আগে আয়লা, আমফান, ফণী, ইয়াসের মতো বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে বা বাংলার কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম দিয়েছে বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান। এবার ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে ওমান। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সাইক্লোনের নামকরণ সিস্টেম অনুযায়ীই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে।
আরবি এই শব্দের অর্থ বালি। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে এই নামে একটি শহরও রয়েছে। ২০২০ সালে মৌসম ভবনের তরফে ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা দেওয়া হয়। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তা হলে তালিকা অনুযায়ী সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘রেমাল’।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ক্যানিং থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ঘূর্ণিঝড় যখন আছড়ে পড়বে, তখন ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে। হাওড়া, হুগলি, নদীয়া , বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং কলকাতায় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।