গ্যাংস্টার সন্দীপ ওরফে কালা জঠেড়ির সঙ্গে চারহাত এক হল অনুরাধা চৌধুরি ওরফে ম্যাডাম মিঞ্জ ওরফে রিভলবার রানির।
দ্বারকা সেক্টর ৩-এ সন্তোষ গার্ডেনে বিয়ে হল মঙ্গলবার। সন্দীপের আইনজীবী এটা ৫১ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন। গ্যাংস্টারের দলবল তাঁকে তুলে নিয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থা ছিল বিয়েবাড়ি এবং তার আশপাশে। এককালে তার মাথার দাম ছিল ৭ লক্ষ টাকা। বিয়ের জন্য দিল্লির আদালত দুজনকে তিহার জেল থেকে সকাল ১০টা-৪টে পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল।
২০২০ সালে কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে উত্তরাখণ্ডে সন্দীপের সঙ্গে আলাপ হয় অনুরাধার।বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে পুলিশের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় তখনই নাম ছিল সন্দীপের। পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি।অন্য দিকে, গ্যাংস্টার রাজু বাসৌদির হাত থেকে বাঁচতে অনুরাধাও তখন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।আগে মৃত গ্যাংস্টার আনন্দপাল সিংয়ের ঘনিষ্ঠ সঙ্গিনী ছিল। তার বিরুদ্ধেও তোলাবাজি, অপহরণ, খুনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ রয়েছে। আপাতত সে জামিনে মুক্ত রয়েছে।
পুলিশ এবং শত্রুদের নজর এড়িয়ে সন্দীপ এবং অনুরাধা ন’মাস ধরে এক শহর থেকে অন্য শহরে ঘুরে উত্তরাখণ্ডের গাড়ওয়াল এলাকায় আশ্রয় নেন। সেখানেই দু’জনের প্রেম শুরু হয়। এর পর তাঁরা যেখানেই গা ঢাকা দিতে গিয়েছিলেন, একসঙ্গে গিয়েছিলেন। তবে তাঁদের প্রেমকাহিনিতে ব্যাঘাত ঘটে ২০২১ সালের জুলাই মাসে। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে সন্দীপ এবং অনুরাধাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় চার বছর প্রেমপর্ব সেরে এ বার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিল গ্যাংস্টার যুগল।
দিল্লির দ্বারকা এলাকায় একটি ব্যাঙ্কোয়েট হলে তাঁদের বিয়েতে ‘অতিথি’ ছিলেন ২৫০-র বেশি পুলিশ কর্মী এবং স্পেশাল ওয়েপনস অ্যান্ড টেকনিক্সের (এসডব্লুএটি) কমান্ডো বাহিনী। তাঁদের হাতে ছিল অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। নিরাপত্তার জন্য দিল্লি পুলিশ দুটি মেটাল ডিটেক্টরের গেট বসিয়েছিল। ব্যাঙ্কোয়েট হলে ঢোকা-বেরনোর উপর নজর রাখতে প্রত্যেক আমন্ত্রিতের হাতে বারকোড লাগানো ব্যান্ড পরানো হয়। এছাড়াও সিসিটিভি ও ড্রোন ঘোরাফেরা করে বিয়ের আসরের মাথার উপর দিয়ে।
गैंगस्टर काला जठेड़ी और लेडी डॉन अनुराधा चौधरी शादी के बंधन में बंधे। काला जठेड़ी पुलिस के बंदी वाहन से आया। अनुराधा ब्लैक स्कॉर्पियो खुद चलाकर लाई। दिल्ली के बैंक्वेट हॉल में पुलिस की टाइट सिक्योरिटी में शादी हुई। शाम 4 बजे पैरोल खत्म होते ही काला फिर जेल चला जाएगा। #Delhi pic.twitter.com/DiCtnIYKJZ
— Sachin Gupta (@SachinGuptaUP) March 12, 2024
১৩ মার্চ, জঠেড়িকে হরিয়ানার সোনিপতে তার গ্রাম জাঠেদিতে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে দম্পতি বিবাহোত্তর আচারগুলি সম্পন্ন করবেন। পুলিস জানিয়েছে, সন্দীপকে ৩য় ব্যাটালিয়ন ইউনিটের বিপুল সংখ্যক পুলিস সদস্যের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে। এই ইউনিটকে বন্দীকে কারাগার থেকে বের করে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।