অনলাইনে এক খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন, অথচ হাতে পেলেন অন্য খাবার— এমন ঘটনা আকছার ঘটেই থাকে। অনেকেই এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে সেই অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থাকে জানানো হলে তারা ব্যবস্থা নেয়। তবে সব সময় নয়। এমনই একটি ঘটনায় জরিমানা দিতে হল সেই খাবার সরবরাহকারী সংস্থাকে।
অভিযোগকারী সিদ্ধার্থ শ্রীবাস্তব পেশায় আইনজীবী। ফলে এই সংক্রান্ত আইনের বিষয়ে তিনি ভাল মতোই জানতেন। তিনি নিজে জিওয়াজি ক্লাবের স্থায়ী সদস্যও। গত ২৬ জুনের ঘটনা এটি। গ্বালিয়র নিবাসী ওই ব্যাক্তি অনলাইনে মটর পনির অর্ডার করেছিল। খাবার আসার পর বাক্স খুলতেই চোখ কপালে ওঠে তাঁদের। মটর পনির কোথায়! এ তো এক কৌটো চিকেন কারি! নিরামিষ খাবারের বদলে এমন সুস্বাদু খাবার হাতে পেয়ে হয়তো অনেকেই খুশি হয়ে যেতেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। কারণ গ্বালিয়রের ওই পরিবার একেবারে নিরামিষভোজী। আমিষ কোনও খাবার তাঁরা ছুঁয়েও দেখেন না। ভুলবশত হলেও বাড়িতে আমিষ খাবার ঢোকায় ওই দিন উপোস করে থাকে গোটা পরিবার।
আরও পড়ুন: Ants: সোনার হার ‘পাচার’ করল পিঁপড়ের দল! ভিডিও দেখে অবাক নেটিজেনদের
সিদ্ধার্থ শ্রীবাস্তবেরঅভিযোগ, ক্লাবের আধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাঁর অভিযোগকে পাত্তাও দেননি তাঁরা। এরপরেই কনজিউমার ফোরামের দ্বারস্থ হন। তারপর ওই রেস্তঁরার বিরুদ্ধে উপভোক্তা বিষয়ক দফতরে অভিযোগ জানায় পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে শাস্তি হিসাবে রেস্তঁরাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেয় উপভোক্তা বিষয়ক দফতর।
‘এটা সুষ্ঠ পরিষেবার অভাব। অবহেলার উদাহরণ এটি। এর ফলে অভিযোগকারী মানসিক এবং শারীরিক আঘাত পেয়েছেন,’ জানিয়েছে কনজিউমার ফোরাম।
আরও পড়ুন: Viral: বিয়ের পর নববধূর পা ছুঁয়ে প্রণাম স্বামীর, চটলেন পুরোহিত