সম্ভাবনাময় দেশে দেশে বিদ্যমান যুবশক্তিকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার প্রয়াসে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য এর আগেই জাতিসংঘ ১৯৮৫ সালে আন্তর্জাতিক যুববর্ষ ঘোষণা করে। … শান্তি, অর্থনৈতিক গতিশীলতা, সামাজিক সুবিচার, সামাজিক সংহতি ও সহনশীলতা প্রধানত নির্ভর করছে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের তারুণ্যের শক্তির ওপরে। এখন বিশ্বের ৪০ কোটিরও অধিক তরুণ নারী ও পুরুষ সশস্ত্র সংঘাত কিংবা সংঘবদ্ধ সহিংসতা সহ্য করে বাস করছেন। … নিজেদের অধিকার প্রশ্নে তরুণ প্রজন্মের লক্ষ লক্ষ সদস্য বঞ্চনা, হয়রানি, চোখ রাঙানি এবং অনান্য সামাজিক গণতান্ত্রিক নীতি লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে তরুণ, নারী ও কিশোরীরা অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।
বর্তমান বিশ্বে ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সের মধ্যে ১৮০ কোটি (১.৮ বিলিয়ন) যুবক-যুবতী রয়েছেন যা এ যাবৎ নবীন মানুষের সর্ববৃহৎ জনসংখ্যা। তবে, এটি অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে বর্তমান বিশ্বে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী সমস্ত শিশু এবং কিশোর-কিশোরীর অর্ধেকেরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষা, ন্যূনতম পড়াশোনা এবং প্রাথমিক গণিতে ভয়ানক দক্ষতার অভাব রয়েছে, যদিও তাদের বেশিরভাগই বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। এই বৈশ্বিক শিক্ষার সঙ্কট মারাত্মকভাবে অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে উঠবে।
তাই জাতিসংঘের পরিকল্পনায় দশটি ক্ষেত্র, অর্থাৎঃ – শিক্ষা, কর্মসংস্থান, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, যুব সমাজে মাদকের অপব্যবহার, কিশোর-কিশোরী অপরাধ, অবসরের কর্মকাণ্ড, বালিকা, যুব, মহিলা এবং সমাজ জীবনে ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুবকদের পূর্ণ এবং কার্যকর অংশগ্রহণ বিষয়কে অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত হয় ১২ আগস্ট ।এটি জাতিসংঘ স্বীকৃত একটি সচেতনতা মূলক দিবস। দিবসটির উদ্দেশ্য যুব সমাজকে ঘিরে সাংস্কৃতিক এবং আইনী সমস্যাগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা। ২০০০ সালের ১২ আগস্ট প্রথম উদযাপিত হয়েছিল এই দিবসটি।এবারের থিম আন্তর্জাতিক সৌভ্রাতৃত্ব।
প্রতি বছর জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক যুব দিবসের জন্য একটি থিম নির্বাচন করে। তারপরেও, এই থিমের ভিত্তিতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সম্পর্কে যুবকদের মতামতও জানা যায়। তাদেরও পরামর্শ নেওয়া হয়। জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন আনতে যুবকদের জড়িত থাকার বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য এই দিন একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারও শুরু করেছে।
ভারতে জাতীয় যুব দিবসটি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন হওয়ার জন্য ১২ জানুয়ারি পালিত হয়। … ১৯৮৪ সালে ভারত সরকার এই দিনটিকে জাতীয় যুব দিবস হিসাবে ঘোষণা করে এবং ১৯৮৫ সাল থেকেই প্রতি বছর ভারতবর্ষে এই দিনে জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়।