পাকিস্তানি নাগরিক সীমা হায়দারের মতো আরও এক মহিলা সীমানার কাঁটাতার পেরিয়ে প্রেমের টানে ছুটে এলেন ভারতে। এবার বাংলাদেশি এক বিধবা মহিলা ৩ সন্তানকে নিয়ে পৌঁছলেন উত্তরপ্রদেশে। তবে তাঁর গল্প সফল হল না। উত্তরপ্রদেশে পৌঁছে প্রেমিকের কাছে ধোকা খেলেন ওই মহিলা। তিনি জানতে পারেন তাঁর প্রেমিক বিবাহিত। তার পরেই আবার তিনি নিজের দেশে ফিরে গেলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশী ওই মহিলার নাম দিলরুবা শারমিন। বয়স ৩২ বছর। তিন সন্তান রয়েছে তাঁর। ২৬ সেপ্টেম্বর তিন সন্তানকে নিয়েই ভারতে আসেন। ২৭ বছরের প্রেমিক আবদুল করিমের সঙ্গে দেখা করতে যান মহিলা। আবদুল উত্তর প্রদেশের মালহিপুর জেলার ভারথা রোশনগড় গ্রামের বাসিন্দা আবদুল।
পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শরমির স্বামীর মৃত্যু হয়। পেশায় একজন বিউটিশিয়ান তিনি। কিছু দিন আগে নেট মাধ্যমে পরিচয় হয় আবদুল করিমের সঙ্গে। আর সেই পরিচয় প্রেমের সম্পর্কে গড়াতে বেশি দিন সময় নেয়নি। বেহরানে রাঁধুনির কাজ করেন আবদুল।
আরও পড়ুন: Newborn: ২৬ আঙুল নিয়ে জন্মাল শিশু, দেবীর অবতার ভেবে প্রণাম ঠুকছে পরিবার
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে দিলরুবা তাঁর তিন সন্তানের সঙ্গে ২৬ সেপ্টেম্বর লখনউ পৌঁছন। তিন সন্তানের বয়স ১৫ বছর, ১২ বছর, ৭ বছর। ওই একই দিনে লখনউ পৌঁছন আবদুলও। আবদুলের গ্রামে যাওয়ার আগে পাঁচ জন মিলে একটি বাসে চেপে বেহেরাইচে পৌঁছন। সেখানে একটি হোটেল ভাড়া নিয়ে দু’দিন থাকেন।
দিলরুবার কাছে নিজেকে অবিবাহিত বলে পরিচয় দিয়েছিলেন আবদুল। তবে গ্রামে পৌঁছতেই ‘মোহভঙ্গ’ হয় দিলরুবার। দেখেন বিবাহিত আবদুল। স্ত্রী- পরিবার নিয়ে ভরা সংসার। গ্রামের বাসিন্দারাও জানান অনেক দিন আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে আবদুলের। খবর যায় পুলিশের কাছে ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরই মাঝে দিলরুবা দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মালহিপুর SHO ধর্মেন্দ্র কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন ওই মহিলা। অপরাধমূলক কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। ধর্মেন্দ্র কুমারের কথায়, “তদন্তে আমরা মহিলার কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্য খুঁজে পাইনি। ওঁর ট্যুরিস্ট ভিসাটিও বৈধ ছিল। শনিবার লখনউ ফিরে যান মহিলা। সম্ভবত ওই দিন বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেন। করিমও ওই দিন বেহরানে ফিরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।”
আরও পড়ুন: Sovan-Baisakhi: একসঙ্গে রুদ্রাভিষেকে শোভন-বৈশাখীর, শিবলিঙ্গে ঢাললেন দুধ