মিস ইউনিভার্স মানেই সুগঠিত তন্বী দেহের সুন্দরী কেউ। কিন্তু সেই ভাবনাকে এবার ভেঙে দিতে চলেছেন এবারের মিস নেপাল। তিনি প্রথম প্লাস সাইজ মডেল যিনি মিস ইউনিভার্সের এবার প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেন।
মিস ইউনিভার্সের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও প্লাস সাইজ মডেল অংশ নিলেন। সুইমস্যুট রাউন্ডে তিনি সকলের নজর কেড়ে নেন। তাঁর কনফিডেন্স, তাঁর সৌন্দর্য সকলের মন কেড়ে নেন। মেটালিক গ্রিন সুইমস্যুট পরে এদিন তাঁকে এই আন্তর্জাতিক মঞ্চে হাঁটতে দেখা যায়। সঙ্গে পরেছিলেন স্ট্র্যাপ হিল এবং বড় কানের দুল। সাজ সম্পন্ন করতে খুলে রেখেছিলেন চুল।
সেরা ২০ প্রতিযোগীর মধ্যে অন্যতম হিসেবে তিনি নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। এই সুখবর জানিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘আমি আমার ফ্যান এবং যাঁরা আমায় সমর্থন করেছেন তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আমার সেরাটা দিয়েছি, আর সেটাই দিন শেষে ম্যাটার করে। গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা রিয়েল সাইজ বিউটির প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত। এই বিউটি পেজেন্টে দাঁড়িয়ে স্টিরিওটাইপ ভাবনা ভাঙতে পেরে গর্বিত।
সেরার মুকুট জিতেছেন যিনি, তাঁর মতোই পরিচিতি জুটেছে দীপিকারও। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খেতাবজয়ী সুন্দরীর পাশাপাশি আলাদা করে বলা হয়েছে দীপিকার নাম। লেখা হয়েছে আলাদা প্রতিবেদন। প্রত্যেকেরই বক্তব্য এক— সৌন্দর্যের বিশ্বমঞ্চে ইতিহাস তৈরি করেছেন দীপিকা।
বিশ্বমঞ্চে সৌন্দর্যের ছক ভাঙার বার্তা দেওয়া এই ২২ বছরের তরুণীর জন্ম আমেরিকার ওয়াশিংটনে। তবে জন্ম আমেরিকায় হলেও তিনি জন্মসূত্রে আমেরিকান নন। দীপিকা নেপালের কন্যা। তাঁর পরিবার নেপালের কাঠমান্ডুর বাসিন্দা। যদিও দীপিকার কৈশোর কেটেছে আমেরিকাতেই। পরে তিনি নেপালে ফেরেন। নেপালের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় সেরা সুন্দরীর শিরোপাও জেতেন তিনি।
প্রসঙ্গত জেন দীপিকা গ্যারেট পেশায় একজন নার্স এবং ব্যবসায়ী। তিনি মানসিক স্বাস্থ্য এবং বডি পজিটিভিটি ছড়ানো নিয়েও কাজ করে থাকেন।