অনলাইনে গেম খেলতে গিয়ে প্রেম। সেই টানেই পাকিস্তানের সংসার ছেড়ে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন তরুণী। সঙ্গে এনেছিলেন চার সন্তানকেও। তবে এখানে এসেও বেজায় বিপাকে পড়তে হয় তাদের। যেতে হয় জেলেও। তিনি সীমা হায়দার। তবে এখন তিনি নিজেকে আর পাকিস্তানি হিসেবে পরিচয় দিতে চান না। সম্প্রতি জামিনে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সীমা। ছাড়া পেয়েছেন তাঁর প্রেমিক সচিন মীনাও। ফের একবার মিলিত হয়েছেন তাঁরা। এই আবহে সীমা স্পষ্টই জানিয়েছেন, ‘তাঁর স্বামী হিন্দু, তিনিও হিন্দু। এখন ভারতই তাঁর দেশ।’
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ নয়ডার জেল থেকে ছাড়া পান সীমা গুলাম হায়দার। একই সময় ছাড়া পান সচিন মীনা। তখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিল। জেল থেকে বেরিয়ে একে অপরকে দেখেই জড়িয়ে ধরেন তাঁরা। সচিনের দাদা তাঁদের নিয়ে যেতে জেলের সামনে এসেছিল স্যান্ট্রো গাড়িতে করে। উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই গৌতম বুদ্ধ নগর পুলিশ সীমাকে গ্রেফতার করেছিল অবৈধ ভাবে দেশে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে। এদিকে সচিন ও তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করা হয় অনুপ্রেবেশকারী আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে। সীমা ও সচিন, দু’জনই দাবি করেন, ‘গদর’ সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Trending News: ‘আর দুনিয়ায় কেউ নেই’, স্বামীর মৃত্যুর পরেই শ্বশুরকে বিয়ে বউমার?
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সীমা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘আমি সচিনকে ছাড়া বাঁচতে পারি না। এবং যেহেতু তিনি আমার স্বামী, আমি তাঁর ধর্ম ও সংস্কৃতিকে নিজের বলে মেনে নিয়েছি। এবং আমার চার সন্তানের নামও পরিবর্তন করেছি। তারা সচিনকে বাবা বলে ডাকে এখন। সচিনের বাবা-মাও আমাকে গ্রহণ করে নিয়েছেন। এবং আমি তাদের সমস্ত সাংস্কৃতি গ্রহণ করেছি। তাঁদের সঙ্গেই আমি থাকব।’
পাশাপাশি তাঁর দাবি, গত মার্চে নেপালে দু’জনে বিয়ে করেছিলেন। তারপর থেকেই তিনি সচিনের ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এমনকী তাঁর চার সন্তানও সচিনকে ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করে বলে জানান সীমা।প্রথমে স্ত্রী কোথায় গিয়েছেন এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না তাঁর স্বামী গুলাম হায়দার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দৌলতে ঘটনার খবর তাঁর কাছে পৌঁছায়। সব শুনে বেজায় ভয় পেয়ে যান তিনি। একইসঙ্গে স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কিন্তু ভারতে এসে আইনের নিয়ম মেনে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য তাঁর নেই। তাই অনলাইনেই ভারত সরকারের কাছে কাতর আর্তি জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান থেকেই গুলাম অভিযোগ তুলেছেন, তাঁর স্ত্রীকে ফাঁসানো হয়েছে বলে। দীর্ঘদিন ধরে গেম খেলার অছিলায় তাঁর কান ভাঙানো হয়েছে বলেই দাবি জানিয়েছেন তিনি। সেই অভিযোগ আদৌ সত্যি কি না, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ কর্তারা।
আরও পড়ুন: Sovan-Baisakhi: ঠোঁটে ঠোঁট রেখে আদুরে চুমু! ধুমধাম করে ‘দুষ্টু’ শোভনের জন্মদিন পালন বৈশাখীর