জগন্নাথ মন্দির দর্শন ও একাধিক কর্মসূচি নিয়ে মঙ্গলবারই ভূবনেশ্বর পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার বিকেলে জগন্নাথ দর্শন করে পুজো দেওয়ার কথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee Puri Jagannath Mandir)।
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, চার ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হবে মন্দিরের দরজা। ভক্তদের সে সময় ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শন বন্ধ থাকবে। আসলে ‘বানাকা লাগি’ বা বিগ্রহের শৃঙ্গার আচার পালনের জন্যই গর্ভগৃহ বন্ধ রাখা হবে। চৈত্র মাসের প্রতিপদের দিন এই রীতি পালিত হয়। আজ প্রতিপদ পড়ায় রীতি মেনেই পুরীর মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার শৃঙ্গার করা হবে। সেই কারণেই বন্ধ থাকবে মন্দির। তাই মুখ্যমন্ত্রী আজ কখন পুজো দিতে পারবেন, সেই নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
মঙ্গলবারই ভুবনেশ্বর পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন তিনি। ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে নেমে মমতা বলেন, “এটা আমার ব্যক্তিগত সফর। বাংলার মানুষের জন্য পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেব। আমি যখনই পুরীতে আসি জগন্নাথ মন্দির দর্শনে যাই। এবারও যাব।” অন্যদিকে, তিনি দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে নবীনজি বহুবার বলেছেন সাক্ষাতের জন্য। আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাব। এখানে বিরোধী জোটের বৈঠকের কোনও বিষয় নয়।”
ওডিশায় যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে গেলেও ঝটিকা সফরে পুরীর মন্দির দর্শনে যেতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। ২০২০ সালে ভুবনেশ্বরে আন্তঃরাজ্য পরিষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার সময়েও পুরী ঘুরে গিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু, ২০১৭ সালে মমতাকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সেবায়েতদের একাংশের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে কার্যত হইচই পড়ে গিয়েছিল দেশজুড়ে।