এখনও বাংলায় রয়েছেন অমিত শাহ। তার মাঝেই তাঁর এবং দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিজেপি ছাড়লেন ৮০ জন বিজেয়ই নেতা-কর্মী। সুকান্ত–শুভেন্দুর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করলেও দলের অভ্যন্তরে ফুঁসতে থাকা আগুন নেভাতে পারলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জেলা কমিটি নিয়ে অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিলেন ১৬ জন বিজেপি নেতা। এই পদত্যাগপত্র পেয়ে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব।
নতুন কমিটি নিয়ে প্রতিটি জেলায় ছড়িয়েছে অসন্তোষ। এবার অমিত শাহের সফরেই ঝাড়গ্রামে দেখা দিল বিজেপির ক্ষোভ। বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির ৬০ জনের মধ্যে ১৬ জন সদস্যই পদত্যাগ করলেন। এই বিষয়ে ঝাড়গ্রামের পদত্যাগী বিজেপি নেতা বিহারি সহিস বলেন, ‘আমাদের না জানিয়ে জেলা কমিটিতে রাখা হয়েছে। না জানিয়ে যেহেতু রাখা হয়েছে তাই পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।’ এই পদত্যাগের তালিকায় রয়েছেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি থেকে বুথ সভাপতি অনেকেই। খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়ায়নি বিজেপি নেতৃত্ব বলে অভিযোগ তাঁদের।
বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি কেন্দ্রেই হেরে গিয়েছে বিজেপি। সম্প্রতি পুরসভা নির্বাচনেও ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডের একটিতেও জিততে পারেনি তারা। আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। ২০১৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলার ২৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি। তবে পরে বেশিরভাগ পঞ্চায়েতই তাদের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় নেতাদের গণ পদত্যাগে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জঙ্গলমহলে বিজেপি আরও কোণঠাসা হয়ে গেল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
ঝাড়গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির সদস্য রেখা সোরেন বলেন, ‘বিজেপির যা সংস্কৃতি তাতে কেউ থাকতে পারে না। যেভাবে জনবিরোধী নীতি নিচ্ছে তাতে কেউই থাকবে না।’ এখানের বিজেপি অফিসে দু’মাস আগে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন কর্মীদের একাংশ।