80 tones Hilsha caugt at dhigha by fishermen in a week

দিঘায় সাত দিনেই উঠল ৮০ টন ইলিশ ! সাধারণের পাতে পড়বে কি, প্রশ্ন সেখানেই

বৃষ্টি পড়ছে ঝিরঝিরেয়ে। সঙ্গে পূব দিক থেকে বইছে হাওয়া। ইলিশের জন্য এই আবহাওয়া একেবারে ‘পারফেক্ট’ । ইলিশরাও নিরাশ করছে না দিঘার (Digha) মৎস্যজীবীদের। শুধু নিরাশ হতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত বাঙালিকে। প্রচুর ইলিশ জালে উঠলেও দামটা কিছুতেই কমছে না। এখনও মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরেই রয়েছে ইলিশের দাম।

গত এক সপ্তাহে ৮০ টন ইলিশ উঠেছে দিঘায়। মৎস্যজীবীরা তাতে দারুণ খুশি। জানা গেছে গত রবিবার শুধু একদিনেই জালে উঠেছে ২৫ টন ইলিশ মাছ। তাছাড়া কোনও দিন ৫ টন, কোনও দিন ১০ টন করে ইলিশ তো উঠছেই। চলতি মরসুমে যা সর্বাধিক।
ইলিশের দাম এখনও সাধারণ মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তাই দিঘার বাজারে ইলিশ কিনতে এসেও অনেকেই খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন বলে খবর। দিঘায় হাফ কেজির ইলিশ বিকোচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়। আর যে ইলিশের ওজন হচ্ছে এক কিলো বা তার বেশি, সেই ইলিশের দাম ১২০০ টাকা। বেশি ওজনের ইলিশ কোথাও কোথাও দেড় হাজার টাকাতেও বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারা যার ফলে হতাশ।

জেলার খুচরো ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, অনেক দিন পর গত কয়েক দিন ধরে ইলিশের জোগান বাড়ছে। মূলত ডায়মন্ড হারবার, দীঘা এবং কিছুটা ওড়িশা থেকে ভাল পরিমাণে ইলিশ ঢুকছে বাজারে। আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় ‘ইলশে গুঁড়ির নাচন দেখে নাচছে ইলিশ মাছ’।

এখন যে আবহাওয়া চলছে সেটা ইলিশের। ফলে দিঘা বা ডায়মন্ড হারবারে ভালই মাছ উঠছে। সেই মাছই আসছে স্থানীয় বাজারে। প্রকৃতির কথা কিছু বলা যায় না। তবে যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে আরও জোগান বাড়বে এবং দামও কমবে। মোদ্দা কথা হল, জোগান বাড়লেও মধ্যবিত্তের পাতে ইলিশ এখন সেই নাগালের বাইরেই আছে।