সিবিআইয়ের চাপে মৃত্যু হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ সুলতান আহমেদের। শনিবার প্রাক্তন সাংসদের স্ত্রী তথা উলুবেড়িয়ার তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনেই প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।। সেখান থেকেই কেন্দ্রের মোদি সরকার এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
সভামঞ্চে সাজদা আহমেদের জন্য ভোট চাইতে গিয়ে অভিষেক বলেন, “এই উলুবেড়িয়া কেন্দ্রের মানুষের সর্বক্ষণের কর্মী, সাথী ছিলেন সুলতান আহমেদ। সিবিআই দিয়ে অত্যাচার করিয়ে মানুষটাকে মারা হয়েছে।” এর পরই তাঁর আর্জি, “তাঁর সহধর্মিনী আপনাদের কাছে শুধু সমর্থন চাইতে নয়, বিজেপিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করার জন্য আশীর্বাদ, দোয়া চাইতে এসেছেন।”
শনিবার মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন,’উলুবেড়িয়া কেন্দ্রের মানুষের সর্বক্ষণের কর্মী ও সাথী ছিলেন সুলতান আহমেদ। সিবিআই দিয়ে অত্যাচার করিয়ে মানুষটাকে মারা হয়েছে।’ তিনি আবেদন জানিয়ে বলেন,’তাঁর সহধর্মিনী আপনাদের কাছে শুধু সমর্থন চাইতে নয়, বিজেপিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করার জন্য আশীর্বাদ, দোয়া চাইতে এসেছেন।’ এই সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে চোখ মুছতে দেখা যায় সুলতান আহমেদের স্ত্রী তথা সাজদা আহমেদকে।
২০১৭ সালে মারা যান তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ। তাঁর নাম জড়ায় নারদকাণ্ডে। সিবিআই তদন্ত শুরু চলাকালীনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সুলতান আহমেদ। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, সিবিআই তদন্ত শুরু হবার পর থেকে টেনশনে ছিলেন তিনি। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের ভরসা সাজদা আহমেদ। গতবার বিরোধী প্রার্থীর থেকে তাঁর ব্যবধান ছিল ২ লাখেরও বেশি। এবার মার্জিন বাড়ানোই লক্ষ্য তৃণমূলের।শাসক দলের শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্র। প্রচারে নানা উন্নয়নমূলক কাজকর্মকেই তুলে ধরছে তৃণমূল। এখনও উলুবেড়িয়া লোকসভার কেন্দ্রের স্মৃতিতে যে সুলতান আহমেদ উজ্জ্বল, অভিষেকের বক্তব্যেই এদিন তা আ একবার স্পষ্ট হল।