ঘূর্ণিঝড়ের রেশ কাটতেই রাজ্যে হিমেল হাওয়ার পরশ স্পষ্টই টের পাওয়া যাচ্ছে। নভেম্বরের প্রথম দিনেই সকালবেলা রীতিমতো ঠান্ডার আমেজ পেল রাজ্যবাসী ।
কলকাতায় ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ৪-৫ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে বেলা বাড়লে কলকাতার আকাশ সামান্য মেঘলা হতে পারে। যদিও এই কদিন তাপমাত্রা (temperature) একই রকম থাকবে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও শীতের আমেজ টের পাওয়া যাবে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, শীতের অনুভূতি (winter) থাকলেও এক্ষুনি শীত পড়ছে না। পারদ আরও পড়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে এই সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাবে সকাল-সন্ধ্যায় ঠান্ডার (cold) অনুভূতি জারি থাকবে।বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আপাতত হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে আগামী পাঁচ দিন ও রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে। মাঝে মধ্যে কোথাও মেঘলা আকাশ থাকলেও, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা কিছুটা নামতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়াও আপাতত একই রকমের থাকবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আপাতত দিন বা রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তনের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
মঙ্গলবার কালিম্পং ও দার্জিলিঙে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতি ও শুক্রবারেও পার্বত্য এলাকাগুলিতে খুব হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হিমেল হাওয়ার কারণে শীত অনুভূত হবে উত্তরের জেলাগুলিতে।